বয়সের কারণে কাজে যেতে পারতেন না অনেকদিন ধরেই। এজন্য শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ায় পরিবারের অভাবের কথা ভেবে দিনরাত দুঃশ্চিন্তা করতেন। এসবের মধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বুঝতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার নপুকুরিয়া এলাকার এক বৃদ্ধ।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভোগার পর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করান তিনি। বুধবার (১৯ মে) বৃদ্ধের ছেলের কাছে রিপোর্ট জানাতে ফোন করেন পরিচিত এক ব্যক্তি। তবে তাকে সরাসরি বলা না হলেও ছেলের সাথে ওই কথোপকথন থেকেই বৃদ্ধ বুঝতে পারেন মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। তবে সে কথা মেনে নিতে পারেননি তিনি। বৃদ্ধের এই কষ্টের কথাও আগে জানতে পারেনি বাড়ির কেউ। জানতে পারে যখন বাড়ির একটি ঘরে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তারা।
পরিবারের সদস্যদের ধারণা, দূরত্ব বজায় রেখে বাসার মধ্যেই মাস্ক পরে থাকতে বলায় এবং সবার ব্যস্ত আচরণে কষ্ট পেয়েই এ কাজ করেন ওই বৃদ্ধ। তাদের মতে, বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কাজে না যেতে পেতে মানদিক অবসাদেও ভুগছিলেন কয়েকদিন ধরে। আর সেজন্যই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করছে সবাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। বর্তমানে পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। কেউ অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন।