পাকিস্তানের লাহোরের একটি সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সেজে হাসপাতালটির সাবেক এক নিরাপত্তাকর্মী একজন রোগীর অস্ত্রোপচার করেছে। রবিবার (৬ জুন) এ ঘটনায় শামীমা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
৮০ বছর বয়সী শামীমা তার পিঠের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রোপচার করা ওই ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ ওয়াহেদ বাট। দুই সপ্তাহ আগে তিনি ঐ নারীর অস্ত্রোপচার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, "এটি একটি বড় হাসপাতাল। আমরা প্রতিটি ডাক্তার এবং বিভিন্ন সময়ে যা কিছু করি তা সর্বদা খেয়াল রাখতে পারি না।"
তিনি বলেছিলেন, অপারেশন থিয়েটারে ছদ্মবেশী ঐ ডাক্তার কি ধরনের অস্ত্রোপচার করেছেন তা স্পষ্ট নয়, সেখানে একজন প্রযুক্তিবিদও উপস্থিত ছিলেন।
রোগীর পরিবার ওয়াহেদ বাটকে চিকিৎসা বাবদ অর্থও প্রদান করেছিল এবং অস্ত্রোপচারের পর ওয়াহেদ সেই রোগীর বাড়িতে গিয়ে দু’বার দেখেও আসেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
ভুল অস্ত্রোপচারের কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে কি না সেই রহস্য উদঘাটনে রোগীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে রাখা হয়েছে।
লাহোরের পুলিশ মুখপাত্র আলী সাফদার এএফপিকে বলেন, "অভিযুক্ত প্রহরী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।"
অভিযুক্ত ওয়াহেদ বাট আগেও এমন কাজ করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
হাসপাতালের কর্মীরা জানান, রোগীদের কাছ থেকে অসদুপায়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টার জন্য ওয়াহেদ বাটকে দুই বছর আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তবে পাকিস্তানের হাসপাতালে এমন ঘটনা কিন্তু এটিই প্রথম না। এর আগে মে মাসে লাহোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার সেজে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাহোরের সার্ভিস হাসপাতালে নিউরোসার্জনের পরিচয় দিয়ে একজন নারী ৮ মাস ধরে বিভিন্ন অপারেশন করেছিল।