যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য দূষণের কারণে জনসন অ্যান্ড জনসনের ছয় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। শুক্রবার (১১ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সম্ভাব্য দূষণের কারণে সংকট-কবলিত” বাল্টিমোর কারখানায় উৎপাদিত ওই ছয় কোটি ডোজ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বাল্টিমোরে অবস্থিত ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকরপোরেশনের প্ল্যান্টে উৎপাদিত টিকাকে এখনই অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর আগে গত এপ্রিল মাসে জনসন অ্যান্ড জনসন বাল্টিমোর সাইটে টিকার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল কারণ সেই একই সাইটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপরকরণের উৎপাদনের কাজ চলছিল। ফলে জনসনের টিকার মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ মিশে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
শুরুর দিকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাদান কর্মসূচিকে একটি পরিবর্তন ঘটানো কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যেহেতু এর একটি মাত্র ডোজ প্রয়োগ করতে হয় এবং ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য এটা বিশেষভাবে উপযোগী। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় এবং মার্কিন সরকারের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইজার ও মডার্নার টিকার মজুদ থাকায় এখন আর জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার খুব বেশি চাহিদা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত জনসন অ্যান্ড জনসনের যে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে তা ওষুধ কোম্পানিটির নেদারল্যান্ডসের কারখানায় উৎপাদন করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব টিকা ইমারজেন্ট বায়োসলিউশনস উৎপাদন করেনি।
গতমাসে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকরপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রবার্ট ক্রেমার জানিয়েছিলেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রায় ১০ কোটি ডোজ টিকা এফডিএ’র পর্যবেক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছে। এই টিকার অধিকাংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানির জন্য রাখা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসের শুরুতে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশনের কারখানায় জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার দেড় কোটি ডোজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যথাযথ মান নিশ্চিত করে সংরক্ষণ না করায় ওই টিকা নষ্ট হয়ে যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া যায়। এরপর থেকে দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কারখানাটি।