পাকিস্তানের পার্লামেন্টে চলছিল ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশন। বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি শাহবাজ শরীফ। এ সময়ে হঠাৎ পার্লামেন্ট ভবনে শুরু হয় হাতাহাতি, ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পার্লামেন্টে অরাজকর পরিস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে চলমান অধিবেশন।
এ সময়ে আহত হন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নারী আইনপ্রণেতা মালেকা বোখারি। বিরাজমান বিশৃঙ্খলায় তিনি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে যখন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলী নাওয়াজ খান বিরোধী দলের দিকে বাজেট বই ছুঁড়ে মারেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দমনে স্পিকার আসাদ কায়সার তিনবার পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
সরকারের উদ্দেশে শরীফ প্রশ্ন রাখেন, "ইমরান খান নিয়াজি ১০০ কোটি মানুষের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই চাকরিগুলি কোথায়?"
তিনি আরও বলেন, "বিদেশ থেকে যে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল, সেগুলো কোথায়?"
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান থেকে দুর্নীতি দূরীকরণের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটি কেবলই ফাঁকা বুলি।
পার্লামেন্টে ঘটা ঘটনার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিরোধী দলের একজন পার্লামেন্ট সদস্য শুরুতে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করার পরেই পিটিআইয়ের কয়েকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।
তবে এর জবাব দিয়েছে বিরোধী দলীয় পাকিস্তান মুসলিম লীগও। দলটির পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।