সীমান্তের ওপার থেকে রকেট হামলার পর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) প্রতিবেশী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা শুরু করেছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে বৃহস্পতিবারে সংঘটিত রকেট হামলার জবাবেই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রকেট ছোঁড়ার জায়গাগুলোতে স্থানীয় সময় ভোররাতে বিমান হামলা চালিয়েছে তারা।
কেউ দায় স্বীকার না করলেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে তা ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সিরিয়ায় সন্দেহভাজন হিজবুল্লাহ বা ইরানিরা ইসরায়েলি বিমানের নিয়মিত লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ২০১৪ সালের পর এই প্রথম তারা লেবাননে বিমান হামলা করলো।
২০০৬ সালে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সীমান্তবর্তী পরিস্থিতি এতদিন শান্ত ছিল।
হিজবুল্লাহ পরিচালিত লেবাননের আল-মানার টেলিভিশন জানায়, সীমান্ত থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার (৭ মাইল) দূরে মাহমুদিয়া শহরের বাইরে প্রান্তীয় দুটি জায়গায় আনুমানিক রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ইসরাইলি বিমান দুটি বিমান হামলা চালায়। লেবাননের সরকারি জাতীয় সংবাদ সংস্থাও বিবরণসহ হামলার খবর দিয়েছে।
বুধবার তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যার মধ্যে দুটি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনার কাছে আঘাত হানে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তিন রাউন্ড আর্টিলারি শেলিং চালিয়ে তারা প্রতিশোধ নেয়। অন্যদিকে, লেবাননের সেনাবাহিনী জানায়, বুধবার রকেট হামলার পর দক্ষিণ লেবাননে ৯২টি কামান দিয়ে আঘাত হানে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আরও হামলার হুমকি এবং সহিংসতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, লেবাননের যা কিছু ঘটবে তার সম্পূর্ণ দায় দেশটির শাসকগোষ্ঠীর।
গত শুক্রবার আরব উপসাগরের ওমান উপকূলে ইসরাইলের একটি ব্যবসায়িক জাহাজে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জাহাজটির দুইজন ক্রু নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন ব্রিটেনের ও অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা, অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে ইরান এই হামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে চিরশত্রু ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।