করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বজুড়ে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারে। মানুষ যেমন কাজ হারিয়েছে, তেমন সদ্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা শিক্ষার্থীদেরকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে চাকরি পেতে। ফলে সীমিত আয়ের অনেক মানুষেরই সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
তেমনই এক পরিবারের সদস্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বর্ণালী সামন্ত। স্নাতক শ্রেণিতে ইতিহাস বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন তিনি। কিন্তু সংসারের হাল ধরতে ডোম পদ চাকরির জন্য আবেদন করেছেন এই মেধাবী নারী।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়।
যদিও এই পদে আবেদনের বিষয়টি পুরোপুরি তার “ইচ্ছাকৃত” নয়। এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট ল্যাবরেটরিয়ান পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেছিলেন স্বর্ণালী। পরে জানতে পারেন, তার আবেদনটি জমা পড়েছে ডোম পদের জন্য।
তবে বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ নেই স্বর্ণালীর। তিনি বলেন, “কাজের কোনো ছোট পদ হয় না। তাই এই চাকরি পেলে সসম্মানে করতে রাজি আমি।”
এই সময়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চার বছর আগে দেবব্রত কর্মকারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন স্বর্ণালী। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পেশায় উবারের বাইক চালক দেবব্রতর একার পক্ষে সংসার চালানো অসম্ভব। তাই স্বর্ণালী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সামান্য বেতনের চাকরি করতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে দেবব্রতের আয় কমে যায়। চাকরি হারান স্বর্ণালীও। সে কারণেই হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছিলেন স্বর্ণালী।
ইতোমধ্যে ডোম পদের চাকরির জন্য পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। এখন শুধু চাকরি পাওয়ার অপেক্ষা করছেন স্বর্ণালী সামন্ত।