Friday, March 28, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

তুরস্ক: খাসোগি হত্যার অডিও-ভিডিও রয়েছে

"খাসোগিকে মারধরের শব্দ শোনা গেছে এবং রেকর্ডিং থেকে বোঝা গেছে, খাসোগিকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে"

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২১ পিএম

তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া প্রখ্যাত সাংবাদিক খাসোগি হত্যার অডিও-ভিডিও রয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। বিবিসির একটি খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি খবরে তুরস্ক কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "খাসোগিকে মারধরের শব্দ শোনা গেছে। রেকর্ডিং থেকে বোঝা গেছে, খাসোগিকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। খাসোগি এবং আরবি ভাষায় কথা বলা বেশ কয়েকজন মানুষের আওয়াজ পাওয়া গেছে। খাসোগিকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে।"

এদিকে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ খাসোগির মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকলেও এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে রাজি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সৌদির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল তুরস্কে পৌঁছেছে। 

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সৌদি রাজপরিবারের প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে তুরস্কে আসেন। তার প্রচেষ্টাতেই দুই দেশের যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।     

এদিকে তুরকের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে দুইটি ব্যক্তিগত বিমানে করে সৌদি থেকে আগত ১৫ সদস্যের একটি স্কোয়াড কনস্যুলেট ভবনের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করে। ইতোমধ্যে তুরস্কের বিভিন্ন স্থানীয় পত্রপত্রিকায় ঐ ১৫ জনের ছবি এবং পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্কের পত্রিকায় প্রকাশিত ওই ১৫ জনের তালিকায় থাকা ৩ জন ব্যক্তি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশেষ ইউনিটের সদস্য এবং ১ জন সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

তবে, সৌদি আরবের দিকে সব অভিযোগের তীর উঠলেও সৌদি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে তার এবং সৌদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে, এতদিন এই বিষয়টি নিয়ে কার্যত নিশ্চুপ থাকার পর অবশেষে সিনেটের চাপে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ব্যাখ্যা চেয়েছে সৌদি আরবের মিত্র হিসেবে পরিচিত মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "খাসোগিকে ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখেছে সবাই, কিন্তু তাঁকে বেরিয়ে আসতে দেখেনি কেউ। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।"

উল্লেখ্য, প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি সোদি যুবরাজের কড়া সমালোচক ছিলেন। একসময় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকলেও পরে রাজপরিবারের প্রকাশ্যে সমালোচনা করে সৌদি যুবরাজের রোষানলে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে কর্মরত ছিলেন। গত ২ অক্টোবর তিনি ব্যক্তিগত কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ হন।

   

About

Popular Links

x