বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য দুটি নতুন ওষুধের সুপারিশ করেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর, কিছুটা কম গুরুতর এবং জটিল অবস্থায় আছেন এমন চার হাজারেরও বেশি রোগীর ওপর সাতটি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন ওষুধগুলো সুপারিশ করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এ পরামর্শ দিয়েছেন।
ব্যারিসিটিনিব বা জানুস কাইনেস (জেএকে) ইনহিবিটর নামে পরিচিত ওষুধটি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কর্টিকোস্টেরয়েডের সংমিশ্রণে গুরুতর ও জটিল কোভিড রোগীদের জন্য ওষুধটি দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, এই ওষুধ দুটি ব্যবহারের ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার হ্রাস এবং ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস করে।
ডব্লিউএইচও-এর বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, ইন্টারলিউকিন-৬ (আইএল-৬) ইনহিবিটর নামের অন্যান্য আর্থ্রাইটিস ওষুধের মতো ব্যারিসিটিনিবেরও কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ওষুধের দাম, প্রাপ্যতা এবং ডাক্তারের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে ওষুধ সেবন করতে হবে।
তারা একই সময়ে দুটি ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে, বিশেষজ্ঞরা গুরুতর বা জটিল কোভিড রোগীদের জন্য অন্য দুটি জেএকে ইনহিবিটর “রুক্সোলিটিনিব” এবং “টোফাসিটিনিব” ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেননা, টোফাসিটিনিব ব্যবহারে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই নির্দেশিকায় ডব্লিউএইচও, কম গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের শর্তসাপেক্ষ “মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি সোট্রোভিমাব” ব্যবহারের সুপারিশ করেছে, তবে শুধুমাত্র যাদের হাসপাতালে ভর্তির সর্বোচ্চ ঝুঁকি রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ওমিক্রনের মতো কোভিডের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ওষুধগুলোর কার্যকরী কি-না সে বিষয়ে তারা এখনও অনিশ্চিত। এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া গেলে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিগুলোর জন্য নির্দেশিকাটি আপডেট করা হবে।