বিমানে উঠে “সিট বেল্ট” বাঁধা পড়ে থাক ঠিকমতো বসার আগেই যদি গন্তব্যে পৌঁছে যান তবে কেমন লাগবে? বিমান ভ্রমণের আনন্দ হয়তো পাবেন না তবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অবশ্যই নাম লিখাতে পারবেন।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিশ্বের সংক্ষিপ্ততম বিমান পরিষেবা হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করেছে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের একটি ফ্লাইট।
মাত্র ১.৭ মাইলের বা ২.৭ কিলোমিটারের এই বিমান যাত্রায় এতোই কম সময় লাগে সাধারণত যে সময়ে কোনো বিমান চলার মতো উচ্চতায় ওঠে সেই সময়েরও কম সময়ে শেষ হয়ে যায় এই ফ্লাইট। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাত্র ৫৩ সেকেন্ডেই শেষ হইয়ে যায় ফ্লাইট।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোবাসের সমান এই বিমানটিতে একসঙ্গে আটজন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন। যাত্রীদের মাত্র কয়েক ইঞ্চি সামনেই বসেন পাইলট। ঠিক যেন বাসের ড্রাইভার। যাত্রীদের সিট কোথায় পড়বে সেটিও ঠিক করে দেন পাইলট নিজেই। কেননা, বিমানটি এতোই ছোট যে ভারসাম্য ঠিক রাখতে ওজন অনুসারে যাত্রীদের বসতে দেওয়া হয়। বিমানে নেই কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা। ফলে যাত্রীদের জন্য এই ৫৩ সেকেন্ডের বিমান যাত্রাটি যে মোটেও আনন্দদায়ক নয় তা বলাই বাহুল্য। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও ১৯৬৭ সাল থেকে চলে আসা এই সংক্ষিপ্ত বিমানযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের ৭০টি দ্বীপের মধ্যে ৫০টিতেই কোনো মানুষ থাকে না। বাকি ২০টি দ্বিপেও জনসংখ্যা হাতে গোনা। তাই ওয়েস্ট্র ও পাপা ওয়েস্ট্র দ্বীপের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্যই এই সংক্ষিপ্ত ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। দ্বীপ দুটিতে জনসংখ্যা ১০০ জনেরও কম, তাই সেতু নির্মাণে যে খরচ হবে সেই তুলনায় সেতু ব্যবহার করার লোক কম। আবার দ্বিপ দুটিকে সংযুক্তকারী ফেরিটিও অনেক ধীরগতির, যে জন্য বিমানই স্থানীয়দের পছন্দের পরিবহন।
এ বিষয়ে প্রধান পাইলট কলিন ম্যাকালিস্টার জানান, এই বিমানযাত্রাটি ঠিক বাসযাত্রার মতোই।