রক্ত বিক্রি করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা চালাতে চান তিনি!
বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক নারী রক্ত বিক্রি করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা চালাতে চান আনন্দবাজার
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০৬ পিএমআপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০৭ পিএম
স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মামলা করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক গৃহবধূ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মামলা চালিয়ে যেতে চান ওই নারী। তাই মামলার অর্থ জোগাড়ের জন্য নিজের রক্ত বিক্রি করতে হাসপাতালে উপস্থিত হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজারের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) হুগলি জেলার রশুড়া থানা এলাকার ভাঙামোরার বাসিন্দা মধুমিতা পাল রক্ত বিক্রি করতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে হাজির হন। এ সময় তার রক্ত বিক্রির কারণ জানাজানি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে ভাঙামোরা গ্রামের দিলীপ পালের সঙ্গে মধুমিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো দিলীপ ও তার পরিবার। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বছরের নভেম্বর মাসে পুরশুড়া থানায় মামলা করেন মধুমিতা।
তার অভিযোগ, পুরশুড়া থানা কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে পাণ্ডুয়া থানায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু, সেখানেও কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে চুঁচুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। আর সেই মামলার খরচ চালানোর জন্যই রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে পাণ্ডয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, মধুমিতা আদালতে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
রক্ত বিক্রি করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা চালাতে চান তিনি!
বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন
স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মামলা করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক গৃহবধূ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মামলা চালিয়ে যেতে চান ওই নারী। তাই মামলার অর্থ জোগাড়ের জন্য নিজের রক্ত বিক্রি করতে হাসপাতালে উপস্থিত হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজারের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) হুগলি জেলার রশুড়া থানা এলাকার ভাঙামোরার বাসিন্দা মধুমিতা পাল রক্ত বিক্রি করতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে হাজির হন। এ সময় তার রক্ত বিক্রির কারণ জানাজানি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে ভাঙামোরা গ্রামের দিলীপ পালের সঙ্গে মধুমিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো দিলীপ ও তার পরিবার। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বছরের নভেম্বর মাসে পুরশুড়া থানায় মামলা করেন মধুমিতা।
তার অভিযোগ, পুরশুড়া থানা কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে পাণ্ডুয়া থানায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু, সেখানেও কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে চুঁচুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। আর সেই মামলার খরচ চালানোর জন্যই রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে পাণ্ডয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, মধুমিতা আদালতে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
বিষয়: