Sunday, July 13, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

কোভিড মহামারিতে চরম দারিদ্র্যের মুখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৪৭ লাখ মানুষ

মহামারির আগের বছরগুলোতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম দারিদ্রসীমার মধ্যে থাকা মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতির দিকে ছিল

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ০১:০২ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও ৪৭ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়েছে।

বুধবার (১৬ মার্চ) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এ তথ্য জানায়। একই সঙ্গে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে তারা।

এডিবি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬৫ কোটি মানুষের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ মানুষ, যা এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ৩.৭%। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে তাদেরকেই ধরা হয়, যাদের দৈনিক আয় ১.৯০ মার্কিন ডলারের (১৬৩ টাকা) কম। 

মহামারির আগের বছরগুলোতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম দারিদ্রসীমার মধ্যে থাকা মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতির দিকে ছিল। ২০১৭ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ২ কোটি ১২ লাখ মানুষ চরম দারিদ্রসীমার মধ্যে ছিল। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ৮০ লাখ এবং ১ কোটি ৪৯ লাখ।

এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, “মহামারিরর কারণে ব্যাপক বেকারত্ব, অসমতা এবং দারিদ্র্যের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নারী, অল্প বয়সী শ্রমিক এবং বয়স্করা এতে বেশি ভুক্তভোগী ছিল।”

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করতে, ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বাড়াতে প্রবিধানের ধারা ঊর্ধমুখী রাখার উদ্দেশ্যে উন্নত সবুজ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে এবং প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে প্রযুক্তির শরণাপন্ন হতে আসাকাওয়া সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।

এডিবির ভাষ্যমতে, ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আরও ৯ কোটি ৩০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে।

২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির হার ৩% হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৫.১% হতে পারে বলে আশা করা হলেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবে তা ০.৮% হারে কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এডিবি।

   
Banner

About

Popular Links

x