রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি জেরুজালেমকে দুই দেশের মধ্যে বৈঠকের আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (২০ মার্চ) গভীর রাতে সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জেলেনস্কি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে আলোচনা প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
“আমরা কৃতজ্ঞ তার প্রতিটি প্রচেষ্টার জন্য। তাই এখনই বা পরে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারি। সম্ভবত জেরুজালেমে আলোচনা হতে পারে,” জেলেনস্কি বলেন।
“শান্তির জন্য সেটিই সঠিক জায়গা। যদি এটি সম্ভব হয়,” তিনি বলেন।
বেনেট জেলেনস্কি এবং পুতিনের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন এবং গত ৫ মার্চ ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেছেন।
গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেনেট দুই দেশের সঙ্গেই সতর্ক কূটনৈতিক পথে হাঁটছেন।
মস্কো এবং কিয়েভ দুই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইসরায়েলের দৃঢ় সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বেনেট রাশিয়ার সঙ্গে সূক্ষ্ম নিরাপত্তা সহযোগিতা রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তজুড়ে সিরিয়ায় রুশ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
“অবশ্যই, ইসরায়েলের নিজস্ব স্বার্থ এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের জন্য প্রতিরক্ষা কৌশল রয়েছে। আমরা এসব বুঝি,” জেলেনস্কি আরও বলেন।
এর আগে রবিবার, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভিডিওলিংকের মাধ্যমে ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
ভাষণে জেলেনস্কি ইসরায়েলকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা দুই রাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পারি তবে তা ভালো এবং মন্দের মাঝামাঝি কিছু নয়।”
তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনকে “হলোকাস্ট”-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
পুতিন ইউক্রেনের নেতাদের “নব্য-নাজি” উল্লেখ করে বলেছেন, “ডিনাজিফিকেশন” ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার অন্যতম কারণ।
এদিকে, ইসরায়েল ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা দিলেও এখনও পর্যন্ত যুদ্ধরত দেশে সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, ইহুদি রাষ্ট্রটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাতেও যোগ দেয়নি।