মসজিদে লাউডস্পিকার (উচ্চশব্দ) ব্যবহার করা মৌলিক অধিকার নয় বলে জানিয়েছে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিকাশ বুধওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ কথা জানিয়েছে।
আদালত উত্তর প্রদেশের ধর্নাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইরফানের একটি আবেদনের জবাবে এই পর্যবেক্ষণ করেছেন। আবেদনকারী ইরফান আজানের সময় মসজদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে বিসাউলি তহসিলের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
এর আগে, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের এক আদেশে মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করার অনুমতি বাতিল করেছিল।
প্রসঙ্গত, হিন্দু কট্টরপন্থী মুখ্যমনন্ত্রী ও ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তর প্রদেশ হল ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু অনুসারে, ইরফান দাবি করেছিলেন, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের এই আদেশ তার মৌলিক এবং আইনি অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বলেন, “আবেদনটি স্পষ্টভাবে ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল। আইনটি এখন নিষ্পত্তি করা হলো যে মসজিদ থেকে লাউড স্পীকার ব্যবহার করা মৌলিক অধিকার নয়।”
এর আগে, ২০২০ সালের মে মাসে, হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিল, আজান ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ কিন্তু লাউডস্পিকারের ব্যবহার নয়। করোনাভাইরাস মহামারিকালে ভলা লকডাউনের মধ্যে আদালত মুয়াজ্জিনদের আজান পড়ার অনুমতি দিয়েছিল। তবে, লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।
পরে, এপ্রিল মাসে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মসজিদগুলো থেকে অননুমোদিত লাউডস্পিকার সরাতে এবং অনুমোদিত স্পিকারগুলো শব্দ সীমার মধ্যে কাজ করে কি-না তা নিশ্চিত করার জন্য একটি অভিযান চালায়৷ অভিযানের সময় ১০ হাজার ৯২৩টি অননুমোদিত লাউডস্পিকার সরানো হয়েছিল বলে পিটিআই গত ২৭ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।