প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে করোভাইরাস সংক্রমণের খবর জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিষয়টিকে “গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা” আখ্যায়িত করে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। তবে শনাক্তের সংখ্যা জানায়নি।
অন্যান্য দেশ করোনাভাইরাসে টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও টিকা কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। এর পরিবর্তে দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং কোনো রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে ভাইরাসটি উপস্থিত রয়েছে।
এদিকে, নতুন কোভিড নিয়মের রূপরেখা নিয়ে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে টেলিভিশনে মাস্ক পরতে দেখা গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রথমবারের মতো মাস্ক পরেছেন। তিনি দ্রুতই এটি সরিয়ে ফেললেও উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা তা পরে রাখেন।
কেসিএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার কিম “সর্বোচ্চ জরুরি” ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের আদেশ দিয়েছেন যার মধ্যে স্থানীয় লকডাউন এবং কর্মক্ষেত্রে জনসমাগমের কড়াকড়ির আদেশ অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার নিউজ আউটলেটটি জানিয়েছে, চারদিন আগে রাজধানীতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়।
সিউল ভিত্তিক মনিটরিং সাইট এনকে নিউজ জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের কমপক্ষে দুদিন লকডাউনের মধ্যে থাকতে হবে।