বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা টেসলা ও স্পেসএক্স-এর কর্ণধার ইলন মাস্ক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ওই অভিযোগকারী বিমানবালাকে “মিথ্যাবাদী” উল্লেখ করে নিজের ওপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী।
এদিকে, ভুক্তভোগী ওই নারীর এক বন্ধুর বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডার বলছে, ঘটনা চেপে যেতে এবং মামলা না করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে ভুক্তভোগীকে আড়াই লাখ ডলার ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন মাস্ক।
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, নথিপত্র ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্বেষণ করে আড়াই লাখ ডলার ক্ষতিপূরণের হিসাব পেয়েছে তারা।
ভুক্তভোগীর বন্ধুর বরাত দিয়ে ইনসাইডার জানিয়েছে, মাস্কের গালফস্ট্রিম জি৬৫০ইআর বিমান ক্রুদের একজন ছিলেন ভুক্তভোগী বিমানবালা। সেখানেই মাস্কের প্রাইভেট কেবিনে প্রায়ই শরীর ম্যাসাজ করার জন্য ডাক পড়তো ওই নারীর। তেমনই এক ফ্লাইটে ওই নারীকে শরীর ম্যাসাজের চেয়েও বেশি কিছু করার প্রস্তাব দেন মাস্ক। বিনিময়ে ওই নারীর পছন্দ অনুযায়ী একটি ঘোড়াও কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে, মাস্কের অশালীন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও কর্মক্ষেত্রে বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হন ওই নারী। আস্তে আস্তে তার শিফট কমিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেশাগত জীবনে প্রভাব পড়ায় ২০১৮ সালে স্পেসএক্সের মানবসম্পদ বিভাগে অভিযোগ করেন ওই নারী। তবে,
অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়েই মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয়।
এদিকে, এ অভিযোগকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” মন্তব্য করে একটি টুইট মাস্ক বলেন, “আগামীতে আমার ওপর রাজনৈতিক আক্রমণ লক্ষ্যণীয় হারে বাড়ার ধারণা করছি।”
Political attacks on me will escalate dramatically in coming months
— Elon Musk (@elonmusk) May 18, 2022
আরেকটি টুইটে মাস্ক বলেন,“আমি সেই মিথ্যাবাদীকে চ্যালেঞ্জ করছি, যিনি দাবি করেছেন তার বন্ধু আমাকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখেছেন। সে কী দেখেছে (কোনো দাগ বা ট্যাটু) যাই দেখুক শুধু একটা বর্ণনা দিক, যেটা সাধারণ মানুষ জানে না। কিন্তু, তিনি কিছুই বলতে পারবেন না, কারণ এমন কিছু কখনও ঘটেনি।”