ভারতের জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আরেকটি মামলা হয়েছে বারানসির আদালতে। হিন্দুত্ববাদীদের করা মামলায় মসজিদ চত্বরে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
বাদীপক্ষের দাবি, পুরো জমিটাই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের। সে কারণে সেখানে মসজিদ থাকতে পারে না। পুরো জমি মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এমন দাবি তুলে জ্ঞানবাপী নিয়ে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী অভয় যাদব বলেন, “জ্ঞানবাপী মসজিদের জমি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি।”
গত ১৭ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে বলেন, “জ্ঞানবাপী মসজিদে নামাজ পড়া যাবে।”
বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জেলা প্রশাসককেও মুসলিমরা যাতে নামাজ পড়তে পারেন, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। ওজুখানা ও তহখানা সিল করে দেওয়ায় ওজুর জন্য পানির ব্যবস্থা করার জন্যও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত পূর্বতন আবেদনের বিচার এখন জেলা বিচারকের আদালতে হচ্ছে। মঙ্গলবার সেখানে শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানি ২৬ মে। এরপর রায় দিতে পারেন বিচারক। তার মধ্যেই আরেকটি আবেদন জানানো হলো।
স্কুলের নির্দেশ
বেঙ্গালুরুর বেসরকারি নিউ হরাইজন স্কুল কর্তৃপক্ষ সাবেক শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন গুগল ম্যাপে জ্ঞানবাপীকে “মসজিদ” না বলে “মন্দির” বলে উল্লেখ করে। যতক্ষণ পর্যন্ত গুগল মসজিদ বদলে মন্দির না লিখছে, ততদিন পর্যন্ত এই কাজ করে যেতে হবে বলে তারা নির্দেশ দিয়েছে।
কীভাবে গুগল ম্যাপে পরিবর্তন করতে হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাবেক শিক্ষার্থীদের ইমেইল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্ক্রিনিং না করেই ইমেল পাঠানো হয়েছিল। এর আগে এই স্কুল সমস্ত ছাত্রদের “কাশ্মীর ফাইলস” সিনেমাটি দেখতে বাধ্য করেছিল।