৩৪ বছর বয়সী ফরাসি নাগরিক অ্যান্থনি লোফ্রোদো ট্যাটু দিয়ে নিজের শরীরে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। নিজেকে তিনি “ব্ল্যাক এলিয়েন” হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে অন্য জায়গায়। এই পরিবর্তিত রূপের কারণে কেউ তাকে চাকরি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অ্যান্থনি।
ট্যাটুর পাশাপাশি ছুরি-কাঁচির সহায়তায় শরীরের মারাত্মক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করার পাশাপাশি মাথা থেকে পা পর্যন্ত ট্যাটুতে ঢেকে ফেলা। বাদ যায়নি চোখও।
অ্যান্থনি নিজেকে একটি “প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত” বলে মনে করেন। “দ্য ব্ল্যাক এলিয়েন প্রোজেক্ট” নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি নিয়মিত তার কিম্ভূতদর্শন পরিবর্তনের বিষয়ে পোস্ট করে থাকেন।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে হাজির হয়ে অ্যান্থনি জানান, তার এই পরিবর্তিত রূপের কারণে মানুষ তাকে নিয়ে “নেতিবাচক” মন্তব্য করে।
তিনি বলেন, “কিছু মানুষ আছে আমাকে দেখলেই চিৎকার করে এবং পালায়। আমিও আর দশজনের মতো সাধারণ মানুষ। কিন্তু তারা মনে করে আমি উন্মাদ।”
অ্যান্থনি আরও বলেন, “আমি কাজ পাই না। আরও অনেক সমস্যা আছে। আমার এই ভালোলাগাকে মানুষ ইতিবাচকভাবে নিতে পারত। কিন্তু বোঝা উচিত ছিল, এর আরও অনেক বিপরীত দিক আছে।”
তবে তাকে দেখে মানুষ যে চমকে উঠতে পারে, সে বিষয়ে তিনি সচেতন বলে দাবি করেন অ্যান্থনি। তাই মানুষের মুখোমুখি হওয়ার মতো অবস্থায় পড়লে তিনি পাশে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তার ভাষায়, “এটা একটা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ। কারণ, প্রতিদিন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা হয় যারা বুঝতে চায় না। এটাই জীবন। সবাই সবকিছু বুঝতে চায় না। যেমন আমিও অনেকের সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝি না।”
৩৪ বছর বয়সী এই ফরাসির মতে, তিনিও একজন “সাধারণ মানুষ”। আর তাই সেভাবেই সবার কাছ থেকে আচরণ আশা করেন তিনি।
এই কিম্ভূতাকার দর্শনের জন্য ইন্সটাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১২ লাখ।