মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল চীন। তা সত্ত্বেও পেলোসি তাইওয়ান যান।
চীন এখন তাদের সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বিষয়টির প্রতিবাদ জানাতে চাইছে। তাইওয়ান সীমান্তের কাছাকাছি সমুদ্রসীমায় এই সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে।
এদিকে, তাইওয়ানের দাবি, চীন এই কুচকাওয়াজ শুরু করলে ১৮টি আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ করে দিতে হবে।
সামরিক মহড়া নিয়ে যা জানা গেছে
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই মহড়া মূলত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। তবে সেই সময় গোলাবারুদ ছোড়া হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে তা শুরু হয়েছে এবং রবিবার পর্যন্ত চলবে। কোথাও কোথাও তাইওয়ান সমুদ্রতটের ২০ কিলোমিটার দূরে এই মহড়া হচ্ছে।
চীনের সরকারি ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উসকানিদাতা।
সতর্ক অবস্থানে তাইপে
তাইওয়ান বলেছে, চীনের এই সামরিক মহড়া আঞ্চলিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চীন অযৌক্তিক কাজ করছে।
তাইওয়ানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইপে সতর্ক। সব জাহাজ ও নৌকাকে ড্রিল চলাকালীন সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে। বুধবার চীনের যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়েছিল বলে তাইপে অভিযোগ করেছে।
পশ্চিমা দেশের নিন্দা
ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বরেল চীনের এই সামরিক ড্রিলের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মহড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। জি ৭-ও একই কথা বলেছে। তাদের মতে, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে।
চীনের প্রবল আপত্তির পরেও বুধবার তাইওয়ান সফরে আসেন মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর আগে তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় যান। তাইওয়ান থেকে পেলোসি দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন।