এবার নরওয়ের অভিবাসন-বিরোধী রাজনীতিবিদরা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। উত্তর কোরিয়া সামিটের পর নরওয়ের ডানপন্থী প্রোগ্রেস পার্টির দুজন সদস্য এ ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন। উল্লেখ্য, প্রোগ্রেস পার্টি নরওয়ের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তবে তাদের মনোনয়ন এ বছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার পর এসেছে।
এর আগেই অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের উপযুক্ত দাবীদার মনে করে ইন্ডিয়ানা প্রদেশের রিপাবলিকান সেনেটর লিউক মেসারের নেতৃত্বে রিপাবলিকান পার্টির ১৮ জন সেনেটর নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
সে চিঠিতে নোবেল কমিটিকে জানানো হয়েছিল, “বিগত কয়েক দশক ধরে চলে আসা উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান অস্থিরতার ইতি টেনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের অস্ত্রভাণ্ডারে তালা লাগাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ঐতিহাসিক এই অবদান ও বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার জন্য নোবেল পুরস্কারের দাবীদার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। এমনকি নিজ দেশের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রও বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এই শীর্ষ নেতা। বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে নোবেল পুরস্কারের দাবীদার শুধু ট্রাম্প নন, আরও অনেকে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নোবেল কমিটির কাছে ২০১৮ সালের জন্য মোট ৩৩০ জন দাবীদারের আবেদন জমা পড়েছে। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিষয়টি এখনও যথেষ্ট জটিল পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে করছে নোবেল কমিটি এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স।