দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৫১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব নেতারা।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে সিউলের ইটাউয়ন জেলায় হ্যালোইন উৎসবের সময় একটি সরু গলিতে বিশাল জনসমাগমে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৮২ জন আহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন নিহতদের পরিবারের প্রতি তাদের “গভীর সমবেদনা” জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “আমরা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের জনগণের প্রতি শোক প্রকাশ করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। যুক্তরাষ্ট্র এই দুঃসময়ে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
একইভাবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক টুইটারে সিউলের ঘটনাকে “ভয়াবহ” বলে বর্ণনা করেছেন। সুনাক লিখেছেন, “এ ঘটনায় হতাহতদের প্রতি এবং সমস্ত দক্ষিণ কোরিয়ানদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।”
এছাড়া জাপান, ফ্রান্স, চীন ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের নেতা সিউলের ট্র্যাজেডিতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “সিউলের ইটাওয়ানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত।”
আরও পড়ুন- দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ফরাসি এবং কোরিয়ান উভয় ভাষায় টুইট করে সিউলের বাসিন্দাদের এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ফ্রান্স আপনাদের সঙ্গে আছে।”
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের প্রতি তার “গভীর সমবেদনা” প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত এবং পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। এতে তিনি সিউলে পদদলিত হওয়ার দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।”
হংকংয়ের নেতা জন লি ফেসবুকে এক বিবৃতিতে সিউলের দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লি বলেছেন, “আমি নিহতদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন যে, “সিউলের মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সকলকে মর্মাহত করেছে।”
স্কোলজ এক টুইটে বলেছেন, “অসংখ্য ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একটি দুঃখের দিন। জার্মানি তাদের পাশে রয়েছে।”
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন যে, সিউলের মর্মান্তিক সংবাদে তার “হৃদয় ভেঙে গিয়েছে”।
বেয়ারবক বলেছেন, “তারা একটি আনন্দময় হ্যালোইন উৎসবের রাত কাটাতে চেয়েছিল, কিন্তু পরিবর্তে ভয়াবহতা ও মৃত্যুর শিকার হতে হলো।”
সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমাহ ইয়াকব প্রাণহানির ঘটনাকে “দুঃখজনক” হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন যে, “ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুদের ট্রমা এবং শোকের অভিজ্ঞতা ‘কল্পনা করা কঠিন'।”
তিনি বলেন, “এই কঠিন সময়ে আমার সমবেদনা ও প্রার্থনা দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের সঙ্গে রয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত এবং পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।”