তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাঁচ দিনেরও বেশি সময় আগে আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তার দেশে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৬১৭ জন জানিয়েছিলেন। এদিকে সিরিয়ায় সরকারি ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ৫৫৩ জন ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সানলিউরফা শহরে বলেছেন, “শুধু তুরস্কেই ৮০ হাজার ১০৪ জন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের ১৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় পরেও ধ্বংসস্তূপ থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।”
এদিকে শনিবার অনুসন্ধান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন জার্মান উদ্ধারকারীরা এবং অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী। অপরিচিত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে তারা উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। যদিও সংঘর্ষের কারণ জানাননি উদ্ধারকারীরা।
তবে অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফলে অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় চেয়েছেন।
এদিকে বিধ্বস্ত এলাকায় লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের আঘাতে বহু আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপে চাপা আছেন এখনও অনেকে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে বের করে আনাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংকট রয়েছে দক্ষ জনবল এবং উন্নতপ্রযুক্তির সরঞ্জামের। ভোগান্তি বাড়িয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পে উভয় দেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া সংস্থাটির পূর্বাভাসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।