চীনে জন্মহার বাড়ানোর জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথাগত বিয়ের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে চীনা সরকার।
এমনিতেই চীনে বিয়ে এবং জন্মহার নিম্নমুখী। এরপর অর্থনৈতিক সংকটের সময় অতিরিক্ত খরচের কারণে বিয়েতে অনীহা অনেকের।
চীনে ঐতিহ্যবাহী বিয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি খরচের পেছনে রয়েছে উপহার বা কাইলি। এটি মূলত একধরনের পণপ্রথা। বিয়ের সময় বরপক্ষ আন্তরিকতাস্বরূপ উপহার কনেপক্ষকে দিয়ে থাকে। এসব বিয়েতে পরিবারগুলো উপহার হিসেবে হাজার হাজার ডলার প্রত্যাশা করে।
চীনে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার এক মাসেরও কম সময় পরে পরিবার উন্নয়ন সংস্থার প্রধান স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জন্মহার বাড়াতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য “সাহসী ও সৃজনশীল” পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিতেই এবার বিয়ের খরচ কমাতে উদ্যোগী হলো চীনা সরকার।
যদিও গত জানুয়ারিতে সেন্ট্রাল হেবেই প্রদেশে বিয়ের খরচের এ প্রথা ভাঙার উদ্যোগ শুরু হয়।
জিয়াংজির একটি শহরে গত ফেব্রুয়ারিতে অবিবাহিত নারীদের একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এ স্বাক্ষরের মাধ্যমে তারা বিয়েতে বিপুল পরিমাণ কাইলি না চাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই প্রদেশের রাজধানীতে বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একটি গণবিয়ের আয়োজন হয়েছে। এ বিয়ের স্লোগান ছিল “আমরা যৌতুক নয়, কনের সুখ চাই”।
জন্মহার বাড়াতে দেশজুড়ে আরও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নবজাতকের জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধি করছে, কর্মীদের বিয়ের জন্য ছুটি দেওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছে এবং অবিবাহিত দম্পতির সন্তানদের নিবন্ধনের অনুমতি দিতে নিয়মের কঠোরতা শিথিল করছে।