ভারতের দিল্লিতে মাথায় ফ্রাই প্যান দিয়ে আঘাত করে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাঙালি গৃহবধূ শর্মিষ্ঠা সোম (৪৮) দিল্লির নেব সরাই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, তার বন্ধুর মা রান্নাঘরে পড়ে গিয়েছেন। তিনি রক্তাক্ত। পুলিশ তখন নেব সরাইয়ের স্বস্তিক রেসিডেন্সির ওই ফ্ল্য়াটে যায়। ঘটনা ২৮ এপ্রিলের হলেও সম্প্রতি তা সংবাদমাধ্যমে আসে।
স্থানীয় পুলিশ আরও জানায়, ২০১৪ সালে পরিবারটি কলকাতা থেকে দিল্লিতে আসার পর ওই এলাকায় বাস করছে। ২০২২-এর মার্চে মাকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন সুরজিৎ সোম। তার ফ্ল্য়াটের উল্টোদিকের ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানেই তিনি মাকে রেখেছিলেন। ৮৬ বছর বয়সী ওই নারী বাতের ব্যথায় ভুগছিলেন। তার হাঁটতে অসুবিধা হতো।
পুলিশ ওই ফ্ল্য়াটের শোবার ঘর থেকে সিসিটিভি ক্য়ামেরা বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু তাতে মেমারি কার্ড ছিল না। অভিযুক্ত নারীর স্বামী সুরজিৎ পুলিশকে জানায়, ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু রেকর্ড করা যায়নি।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালে চিকিৎসকরা জানান, মৃতের শরীরের আঘাতের কারণ পড়ে যাওয়া নয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।
নিহতের ছেলে সুরজিৎ পরবর্তীতে সিসিটিভি ক্যামেরার মেমোরি কার্ড সরানোর কথা স্বীকার করেন। কারণ, তার স্ত্রী যখন ফ্রাই প্যান হাতে ফ্ল্যাটে ঢুকে শোবার ঘর থেকে শাশুড়িকে টেনে রান্নাঘরে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এতে বৃদ্ধার চিৎকারও শোনা যাচ্ছিল। ঘটনার সময় সুরজিৎ বা তার মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। সুরজিৎ পরে সিসিটিভি ফুটেজে ওই ঘটনা দেখতে পান।
সুরজিতের মেয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত বৃদ্ধার সঙ্গে তার পুত্রবধূর সম্পর্ক ভালো ছিল না। একই কথা বলছেন অভিযুক্তের স্বামীও। পুলিশের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধার সেবা করতে করতে হতাশায় পুত্রবধূ এই কাজ করেন।
অভিযুক্ত শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ।