অর্থ পাচারের অভিযোগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
সোমবার (৩০ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সত্যেন্দ্র জৈনর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, তিনি তদন্ত প্রক্রিয়াকে ভুল পথে চালিত করেছেন এবং প্রায় ৫ কোটি রুপি পাচার করেছেন। যা ভারতের পিএমএলএ (অর্থ পাচার প্রতিরোধ) আইনের আওতায় গুরুতর অপরাধ। মঙ্গলবার (৩১ মে) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে সত্যেন্দ্র’র গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া টুইটার পোস্টে লেখেন, “আট বছর ধরে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা চলছে। এখন পর্যন্ত ইডি বহুবার এ মামলায় তাকে ডেকেছে। এর মধ্যে, ইডি অনেক বছর ধরে কিছু না পাওয়ায় ডাকা বন্ধ করে দেয়। এখন তারা আবার শুরু করেছে কারণ সত্যেন্দ্র জৈন হিমাচলে আসন্ন নির্বাচনে আম আদমি পার্টির (এএপি) ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “হিমাচল রাজ্যে বিজেপি হেরে যাচ্ছে। আজ সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যেন তিনি হিমাচল যেতে না পারেন। মামলাটি সম্পূর্ণ ভুয়া হওয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে তাকে (সত্যেন্দ্র জৈন) ছেড়ে দেওয়া হবে।”
ইডির তথ্য অনুযায়ী, সত্যেন্দ্র জৈন কলকাতাভিত্তিক কিছু শেল কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা পাচার করেছেন।
মামলার এজাহারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও জৈনের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে, সত্যেন্দ্র জৈন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময় উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮১ লাখ রুপি পাচার করেছেন।