গণ-বিক্ষোভের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে থাইল্যান্ডে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে
গত মাসে তার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় দেশে অস্থায়ী আশ্রয় চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ব্যাংককে পৌঁছাতে পারেন গোতাবায়া।
বুধবার (১০ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে।
রাজাপাকসে গত ১৪ জুলাই গণবিক্ষোভের মুখে মালদ্বীপ হয়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগেরে পর দেশটির রাষ্ট্রপথি নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র দুটি রয়টার্সকে জানিয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর ছেড়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে রয়টার্সকে কিছু জানায়নি। থাই সরকারের মুখপাত্র রাতচাদা থানাদিরেক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘কোন মন্তব্য নেই’’।
রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে কোনো প্রকাশ্য উপস্থিতি বা মন্তব্য করেননি। সিঙ্গাপুরের সরকার এই মাসে বলেছে, দেশটি তাকে কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা বা অনাক্রম্যতা দেয়নি।
এর আগে রাজাপাকসের উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে ইঙ্গিত বলেছিলেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কায় ফিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৩১শে জুলাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘এখন তার ফিরে আসার সময়, এটা আমি মনে করি না।’
আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাজাপাকসে যদি শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হলে তাকে আইনের অধীনে রক্ষা করা নাও হতে পারে।
প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের ৭৩ বছর বয়সী এক সময় শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি প্রতিরক্ষা সচিব থাকার সময়, ২০০৯ সালে সরকারি বাহিনী চূড়ান্তভাবে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে, ইতি টানে শ্রীলঙ্কার কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধের।