আকারে ছোট্ট এক প্রাণি পিঁপড়া। কিন্তু সংখ্যায় এটি ছোট নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
একক নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্বে ২০ কোয়ালিড্রন পিঁপড়ার সন্ধান মিলেছে। অর্থাৎ ২০ এর পর ১৫টি শুন্য বা ২০ হাজার লাখ কোটি পরিমাণ পিঁপড়া রয়েছে। ১ কোয়ালিড্রন = ১ হাজার লাখ কোটি।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার জার্মানির ওয়ারজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট বিশেষজ্ঞ ও গবেষক সাবিন এস নুটেন সিএনএনকে বলেন, আমরা যে বিপুল সংখ্যক পিঁপড়া পেয়েছি তাতে আমরা খুব অবাক হয়েছি।
গবেষকরা জানান, সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের কিছু বেশি প্রজাতি এবং উপপ্রজাতির পিঁপড়ার সন্ধান পাওয়া গেছে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, ‘‘পৃথিবী জুড়ে পিঁপড়ার বিভিন্ন প্রজাতি ছড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময়েই এই প্রাণীটির সংখ্যা কত তা ভাবিয়ে তুলেছে প্রকৃতিবিদদের। কিন্তু উপযুক্ত পদ্ধতি এবং অভিজ্ঞতার অভাব ছিল।’’
গবেষকরা জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় পিঁপড়া-ঘনত্ব কত, তা নিয়ে প্রকাশিত হওয়া ৪৮৯টি গবেষণাপত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ওই সংখ্যা পেয়েছেন তারা। তবে ঘুরপথে এই ধরনের গণনার মধ্যে ছোট বা বড় বিচ্যুতি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় পিঁপড়ার সংখ্যা বিভিন্ন রকম।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ক্রান্তীয় অঞ্চল অর্থাৎ গরম এলাকায় পিঁপড়ার সংখ্যা অন্যান্য এলাকার তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি।
গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে যত পিঁপড়া রয়েছে তার মোট ওজন এক হাজার ২০০ কোটি কিলোগ্রাম (৩০ লাখ ভারতীয় হাতির ওজনের সমান)।
গবেষকরা লিখেছেন, ‘পিঁপড়ার এই বিশ্ব মানচিত্র আমাদের ভূগোল এবং পিঁপড়ার বৈচিত্র্য চেনাতে আরও সাহায্য করবে। এ ছাড়াও পরিবেশগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পিঁপড়াদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাও বোঝা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তারা।