সারাবিশ্বে সেপ্টেম্বর মাসেও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমেছে। এ নিয়ে টানা ছয় মাস খাদ্যদ্রব্যের দাম কমলো। এর আগে গত মার্চ মাসে বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সূচকে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় দামের সূচক ছিল ১৩৬.৩ পয়েন্ট। যা আগস্টের তুলনায় ১% কম। তবে, গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এটি ৫.৫% বেশি।
এফএও বলছে, ভেজিটেবল অয়েলের দাম “তীব্রভাবে” কমেছে। এছাড়া চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের দামও মাঝারিভাবে কমেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ ছিল। এ রকম অবস্থায় ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় দেশ জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তি মেনে চলায় আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমতে শুরু করে। তবে নভেম্বর পর্যন্ত এই চুক্তি মেনে চলা হবে কি-না এমন শঙ্কায় গমের দাম বেড়েছে। এছাড়া আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুষ্ক আবহাওয়াও বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
এফএও এ বছরের জন্য বিশ্ব শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস আবার ১.৭% কমিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, আফ্রিকার ৩৩টি, এশিয়ার নয়টি, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের দুটি এবং ইউরোপের একটি সহ ৪৫টি দেশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দরকার।
জাতিসংঘ সেপ্টেম্বরে সতর্ক করেছিল, দশ লাখেরও বেশি মানুষ মানবিক সহায়তা ছাড়া দুর্ভিক্ষ ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।