ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির কট্টর ডানপন্থি নেতা জেইর বলসোনারো৷ নতুন এই সরকার প্রধান সাবেক সেনা প্যারাট্রুপার সামরিক শাসকদের ভক্ত বলে সুপরিচিত।
শপথগ্রহণের সময় ৬৩ বছর বয়সি এই প্রেসিডেন্ট বলেন,‘‘আমাদের ঐতিহ্যবাহী ইহুদি-খ্রিস্টান আচারকে ফিরিয়ে আনতে হবে৷’’ সে সময় তিনি ব্রাজিলের দুর্নীতি, অপরাধ অব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণেরও প্রতিশ্রুতি দেন৷
ডয়েচে ভেলে জানায়, শপথ গ্রহণের পর দেওয়া বক্তব্যে তার দেশ ‘সমাজতন্ত্র ও রাজনৈতিক শুদ্ধাচারের কবল থেকে মুক্ত হলো’ উল্লেখ করে ব্রাজিলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক সংস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভক্ত বলসোনারোর বিরুদ্ধেও নারী, সমকামী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ এদিকে বিরোধীরা বলছেন, কট্টর-ডানপন্থি সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার উত্থানে ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটির গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে৷
অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ব্রাজিলের সখ্যতা হতে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেলো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকা থেকে৷ কট্টর ডানপন্থি নেতাদের সমাগম ছিল সেখানে৷ এই আয়োজনে অংশ নেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোরিয়ান ওরবান৷ অন্যদিকে ব্রাজিলের প্রতিবেশি দেশগুলোর বামপন্থি সরকার প্রধান যারা বলসোনারোকে স্বৈরশাসক বিবেচনা করছেন তারা এই শপথ আয়োজনে আমন্ত্রণ পাননি৷ এই তালিকায় রয়েছেন ভেনেজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো, নিকারাগুয়ার ড্যানিয়েল ওর্তেগা, কিউবার মিগুয়েল ডিয়াজের মতো নেতারা৷
তবে বলসেনারোর অভিষেক আয়োজনে যোগ দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ অনুষ্ঠান শেষে পম্পেও ব্রাজিলেই নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠক করেন৷