এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করবে জাপান। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স
আলবানিজ বলেন, “শক্তিশালী নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে জাপানের সামরিক বাহিনী অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের পাশাপাশি উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন সম্পন্ন করবে।”
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও আলোচনা করেন আলবেনিজ এবং কিশিদা।
অসি সরকারের এক বিবৃতিতে নিরাপদ সরবরাহ চেইনের জন্য একটি কাঠামো তৈরির পাশাপাশি জাপানি ও অস্ট্রেলীয় খনিজ প্রকল্পগুলোর মধ্যে গবেষণা, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থাসহ তথ্য আদান-প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, হালনাগাদকৃত যৌথ নিরাপত্তা ঘোষণা তার সফরের অন্যতম বড় অর্জন। দেশের প্রতিরক্ষার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় বিকল্পগুলো বিবেচনা করা হবে। জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আগামী পাঁচ বছরে মৌলিকভাবে শক্তিশালী করা হবে।
গত সপ্তাহে চীনকে মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস বলেছিলেন, “আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকে একটা চাপ লক্ষ করছি। কারণ, চীন তার চারপাশের বিশ্বকে এমন রূপ দিতে চাইছে, যা আমরা আগে দেখিনি।”
এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এর প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলোর জন্য ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার কূটনৈতিক উপস্থিতি জোরদারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।