জীবনের দুঃসহ স্মৃতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নিচ্ছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসা। সেখানেই পরিচয় হয় দীপা ও পি মহেন্দ্রনের। পরে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। এই জুটির বিয়েতে যোগ দেন স্থানীয় মন্ত্রী, আর সেখানেই ঘোষণা দেন, এভাবে মানসিক হাসপাতালে এসে কেউ যদি বিবাহিত জীবন শুরু করে, তাকে চাকরি দেবেন তিনি।
ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যে ঘটেছে এ ঘটনা। দেশটির সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
গত শুক্রবার চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের (আইএমএইচ) ২২৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন দুজন।
খবরে বলা হয়, রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান ওই বিয়েতে যোগ দিয়ে এই নবদম্পতির জন্য চাকরির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, এই দম্পতি ১৫,০০০ ভারতীয় রুপি মাসিক বেতনে আইএমএইচ-এ ওয়ার্ড ম্যানেজার হিসাবে চাকরি পাবেন। এই দম্পতিও চাইছিলেন হাসপাতালে বন্দিদের সেবা ও নার্সিংয়ে অবদান রাখতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, মহেন্দ্রন হাসপাতালে এসেছিলেন পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে তিক্ত লড়াইয়ে উদ্বেগ ও ভয় থেকে বাঁচতে। অপরদিকে ২০১৬ সালে বাবাকে হারিয়ে দীর্ঘস্থায়ী শোকে ডুবে পড়েন দীপা। আইএমএইচে ভর্তির সময় দুজনের কেউ কাউকে চিনতেন না। তবে পরিচয়ের পরেই তারা একে অপরকে আপন করে নেওয়ার কথা ভাবছিলেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে সহায়তা করে স্বয়ং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মানসিক হাসপাতাল আইএমএইচে ২৪৬ জন নারীসহ ৭২৩ বন্দি রয়েছে। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন রোগী ভর্তি করা হয়। এদের অধিকাংশই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে আসেন। এছাড়া প্রতিদিন চার-পাঁচজন রোগী ভর্তি করে রেলওয়ে বা রাজ্য পুলিশ।