রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ হাজার ইউক্রেনীয় নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন মিসিংপার্সন (আইসিএমপি)।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার বন্দীশালায় এখনো ৩ হাজার সেনা বন্দী আছে। বন্দিবিনিময় নিয়ে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এখন অনেক ভঙ্গুর বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউরোপের দায়িত্বে নিয়োজিত আইসিএমপি-র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ম্যাথিউ হলিডে বলেছেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে কতজনকে জোরপূর্বক স্থানান্তর করা হয়েছে, কয় জনকে রাশিয়ায় আটকে রাখা হয়েছে, কতজন জীবিত রয়েছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বা মারা গিয়েছে; আর কতজনকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।
হলিডে রয়টার্সকে বলেছেন, ইউক্রেনে নিখোঁজদের বিষয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া কয়েক বছর ধরে চলবে, এমন কি তা যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও চলতে থাকবে। শুধুমাত্র বন্দর শহর মারিউপোলের কথা বিবেচনা করলেই ১৫ হাজার নিখোঁজ হওয়ার এর সংখাটি কম বলেই মনে হয়।
কর্তৃপক্ষের অনুমান, প্রায় ২৫ হাজার মানুষ হয় মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
হলিডে বলেছেন, সংখ্যাটি বিশাল এবং চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তাও ব্যাপক। এছাড়া তারা লড়ছে রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে।
এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর আজকের দিনসহ (৩০ ডিসেম্বর) টানা ৩১০ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উলটো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে।