সামরিক ব্যয় কমাতে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা তাদের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমানোর কথা ভাবছে। আগামী বছরের মধ্যে দেশটি তাদের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা তিন ভাগের একভাগ কমিয়ে এক লাখ ৩৫ হাজারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা এক লাখে নামিয়ে আনবে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রেমিথা বান্দারা থেনাকুন সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে আনার এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
থেনাকুন বলেছেন, “সামরিক ব্যয় মূলত রাষ্ট্রের খরচের খাতে থাকে, যা জাতীয় ও মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পথ করে দেয় ও উদ্দীপনা যোগায়। আমাদের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রযুক্তি ও কৌশলগতভাবে দক্ষ ও ভারসাম্যপূরণ করে গড়ে তোলা।”
শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছিল বলে বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে; এই সংখ্যা তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) সঙ্গে ২৫ বছরব্যাপী সংঘাতের সময়কার চেয়েও অনেক বেশি। এলটিটিই-র সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর সংঘাত ২০০৯ সালে শেষ হয়।
এখন দেশটির সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ২ লাখের সামান্য বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
কলম্বোভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ভেরিত রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা তাদের প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছিল ২০২১ সালে, সেসময় তাদের জিডিপির ২.৩১%। গত বছর অবশ্য সেই ব্যয় নেমে জিডিপির ২.০৩% এ দাঁড়ায়।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত বছর সোয়া দুই কোটি জনসংখ্যার দ্বীপদেশটি যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে, তা থেকে উঠে দাঁড়াতে দেশটির সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে নানা খাতে খরচ কমাতে হচ্ছে।