নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী জাপানি সাহিত্যিক কেনজাবুরো ওয়ে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
গত ৩ মার্চ ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাপানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
ওয়ের বইয়ের প্রকাশক কোদানশা লিমিটেড জানিয়েছে, লেখকের ইচ্ছা অনুযায়ী শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান পরিবারের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। তবে পরে তার স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত এই জাপানি সাহিত্যিককে ১৯৯৪ সালে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার পর তিনি হচ্ছেন নোবেল পুরস্কার পাওয়া দ্বিতীয় জাপানি সাহিত্যিক।
নোবেল পুরস্কার কমিটি ওয়েকে পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল, কাব্যিক শক্তির প্রতিফলন ঘটিয়ে কল্পনার এমন এক জগৎ তিনি তৈরি করে নিয়েছেন, জীবন ও কাল্পনিক আখ্যান যেখানে বর্তমান কালের দুর্দশার বিব্রতকর ছবি তুলে ধরতে ঘনীভূত সত্তা নিয়ে উঠে এসেছে।
কেনজাবুরো ওয়েকে বলা হয় বলিষ্ঠ সত্তার এক নিভৃতচারী সাহিত্যিক। সস্তা প্রচার থেকে দূরে ছিল তার অবস্থান। জীবনে যেটাকে তিনি সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কোনোরকম আপস তিনি কখনো করেননি। পাশাপাশি নিজের সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি ছিলেন খুবই সচেতন।
২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর মার্কিন সাময়িকী নিউইয়র্কারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ওয়ে লিখেছিলেন, পারমাণবিক চুল্লি তৈরি এবং তা প্রদর্শন করার মধ্য দিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে মানবজীবনের প্রতি অসম্মান দেখানো হবে হিরোশিমার আণবিক বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের প্রতি সম্ভাব্য নিকৃষ্টতম বিশ্বাসঘাতকতা।
এই বিশ্বাসে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অটল থেকে জাপানকে পরমাণুমুক্ত করার নাগরিক আন্দোলনে নিজেকে তিনি সব সময় সম্পৃক্ত রেখেছিলেন।
কেনজাবুরো ওয়ের জন্ম ১৯৩৫ সালে পশ্চিম জাপানের এহিমে জেলায়।
পারিবারিকভাবে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।