শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এবার প্রবল বৃষ্টিপাতের তুরস্কে প্রলয়ংকরী বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত থেকে এ বন্যায় দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
বুধবার সকালে তোকাত প্রদেশের গভর্নর নুমান হাতিপোলু জানিয়েছেন, বন্যায় সেখানে একজন মারা গেছেন। আদিয়ামানের টুট জেলায় চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারি বৃষ্টিতে সানলিউরফা ইয়ুবিয়ে ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানকার রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সানলিউরফার আবিদে কোপ্রলু জংশনের কাছে বন্যার কারণে অন্তত ছয়জন আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছু দিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের আবহাওয়া দপ্তরের (টিএসএমএস) পূর্বাভাসে ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অতিবর্ষণে দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, এলাজিগ, মালত্য, কাহরামানমারাস, মারদিন, সিভাস, সানলিউরফা ও কিলিস প্রদেশ। গত মাসের ভূমিকম্পে এই এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রা ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় ৫১ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।