ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়র শহরে এক প্রকৌশলী দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে করেন ২০০৮ সালে। করোনাভাইরাস মহামারি আসার পর তিনি প্রথম স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসেন পরে ২০২০ সালের দিকে ওই প্রকৌশলী তার এক নারী সহকর্মীকে বিয়ে করেন।
প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতেন না। তিনি বাবার বাড়িতেই ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্বামীর বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন এবং তার একটি কন্যা সন্তানও হয়েছে।
এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাঁধলে। ওই প্রকৌশলীর সপ্তাহের সাতদিনকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন দুই স্ত্রী। তিন দিন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে, তিন দিন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে এবং আরেকদিন ইচ্ছেমতো যেকোনো স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে পারবেন ওই প্রকৌশলী। এছাড়া নিজের বেতনের অর্থও দুজনের পেছনে সমান ভাগে খরচ করতে হবে তাকে।
দিন ভাগাভাগির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়র শহর আদালতের আইনজীবী হারিশ দিওয়ান। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
আইনজীবী হারিশ দিওয়ান বলছেন, যাকে ঘিরে বিতণ্ডা, সেই স্বামী একজন প্রকৌশলী। থাকেন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম শহরে। ওই প্রকৌশলীর প্রথম স্ত্রীর বাবার বাড়ি গোয়ালিয়রে। ২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুতে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। এরপর বহুদিন সেমুখো হননি তিনি। এতে সন্দেহ হয় স্ত্রীর। একদিন হুট করে গুরুগ্রামে স্বামীর অফিসে গিয়ে হাজির হন তিনি। দেখতে পান এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন স্বামী। তাদের একটি কন্যাসন্তানও হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রথম একচোট ঝগড়ার পর গোয়ালিয়রে পারিবারিক আদালতে বিচার চান প্রথম স্ত্রী। পরে আদালত ওই ব্যক্তিকে ডেকে নেন। বারবার বোঝানোর পরও দ্বিতীয় স্ত্রী বলে যাকে দাবি করেছেন, তাকে ছাড়তে রাজি হননি তিনি। পরে তিনজন মিলে ওই সমঝোতা চুক্তিতে যান।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই স্ত্রীর জন্য আলাদা বাসার ব্যবস্থা করবেন স্বামী। সেখানে দুজনের সঙ্গে সপ্তাহের দিন ভাগ করে থাকবেন। এছাড়া নিজের বেতনের অর্থও দুজনের পেছনে সমান ভাগে খরচ করতে হবে তাকে।
ভারতে এই চুক্তির বৈধতা আছে কি-না, জানতে চাইলে হরিশ দিওয়ান বলেন, চুক্তিটি করেছেন ওই তিনজন। এর সঙ্গে আদালতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর হিন্দু আইন অনুযায়ী এই বিয়ে বৈধ নয়। কারণ, হিন্দু আইনে এক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে বিয়ে করা যায় না।