সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টার কড়া সমালোচনা ও আপত্তি জানিয়েছে দেশটির সাংবাদিকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টি দমনমূলক ও সেন্সরশিপের সমতুল্য। এছাড়া ভুয়া, জাল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া কী হবে সেটিও স্পষ্ট নয়।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এক সাক্ষাৎকারে গিল্ডের এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কিছুটা সংশোধনী এনেছে ভারত সরকার। এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার-সংক্রান্ত “জাল, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা, প্রচার করা বা রাখা” যাবে না। সরকারি তথ্য-যাছাই ইউনিট তৈরির কথাও বলা হয়েছে।
এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে গিল্ড। তাদের প্রশ্ন, “সরকারি তথ্য-যাছাই ইউনিটের পরিচালন-পদ্ধতি কী হবে। সত্য-মিথ্যা নিরূপণের প্রশ্নে তাদের ক্ষমতা কতটা একচেটিয়া হবে? এমন ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আবেদনের সুযোগ আদৌ কতটা থাকছে?”
আইনের সংশোধনীর পর গিল্ডের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দমনমূলক নিয়ম চাপিয়ে এমন নির্দেশিকা আক্ষেপের বিষয়। আবেদন করা হচ্ছে, সেটি বাতিল করে সম্প্রচার সংস্থা ও সংবাদ-সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হোক।''
ডিজিটাল অধিকার সংস্থা ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (আইএফএফ) বলেছে, নির্দেশিকায় “জাল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” শব্দগুলো যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সরকার এই নীতিমালার অপব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।