ইরানে ঊর্ধ্বতন শিয়া আলেম ও প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আয়াতুল্লাহ আব্বাসালি সোলেইমানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
মাজানদারান প্রদেশের বাবোলসার এলাকার একটি ব্যাংকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আয়াতুল্লাহ আব্বাসালি সোলেইমানি নামের ওই শিয়া নেতা মজলিস-ই খবরেগন-ই রাহবারির সদস্য ছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মাজানদারান প্রদেশের গভর্নর বলেছেন, সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই ব্যাংকের একজন নিরাপত্তা প্রহরী। হত্যার কারণ জানা যায়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কর্তৃক মনোনীত ৮৮ জন আলেমকে নিয়ে ইরানের এই বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য ছিলেন আয়াতুল্লাহ সোলেইমানি।
তাত্ত্বিকভাবে এই পরিষদ সর্বোচ্চ নেতার কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ এবং দায়িত্ব পালনে অক্ষম বিবেচিত হলে তাকে অপসারণও করতে পারে।
নিহত আয়াতুল্লাহ সোলেইমানি এর আগে ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ সিস্তান-বেলুচিস্তানে ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৭ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।
বুধবার স্থানীয় সময় সাড়ে দশটার দিকে সত্তোরোর্ধ আয়াতুল্লাহ সোলেইমানি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য বাবোলসারে বেলি ব্যাংকের একটি শাখায় গিয়েছিলেন।
তাসনিম বার্তা সংস্থার প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী গাঢ় পোশাক ও সাদা পাগড়ি পরা ওই আলেমকে ব্যাংকের ভেতরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে।
নীল এবং সাদা ইউনিফর্ম পরা একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি এবং একটি সাবমেশিনের মতো বন্দুক হাতে নিয়ে তার পেছন দিক থেকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। এ সময় তার পিঠে একাধিক গুলিবর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। গুলিবর্ষণের পর লোকটিকে নিরস্ত্র করা হয়। দুই ব্যক্তি তাকে আটক করেন। এদের একজন সবুজ ইউনিফর্ম পরা।
মাজানদারানের গভর্নর মাহমুদ হোসেইনিপুর নুরি বলেন, হামলাকারী একজন স্থানীয় ব্যক্তি। যিনি ব্যাংকের প্রহরী হিসেবে একটি নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সশস্ত্র বেশ কয়েকজন প্রহরীর একজন তিনি।
এর আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে একটি শিয়া মাজারে ছুরি হামলায় দুই আলেম নিহত ও তৃতীয়জন আরেকজন আহত হন।