ভারতের কেরালা রাজ্যের উপকূলে দোতলা একটি হাউসবোট উল্টে যাওয়ার পর ডুবে গিয়ে সাত শিশুসহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যটির মালাপ্পুরম জেলার উপকূলীয় শহর তানুরের সৈকতের কাছে এ ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত মানুষের ভারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রাজ্যটির পুলিশ।
মালাপ্পুরম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল নজর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “অতিরিক্ত যাত্রীর ভারেই বোটটি ডুবে গেছে। উদ্ধার করার পর ১০ জনের মতো যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আরও অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বোটটিতে টিকেটধারী ৪০ জন থাকলেও টিকেট ছাড়াও আরও অনেকে ছিলেন। তবে ঠিক কতোজন ছিলেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বোটটির নিরাপত্তা ছাড়পত্রও ছিল না। দুর্ঘটনার ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
কেরালার মৎস ও বন্দর উন্নয়ন মন্ত্রী ভি. আব্দুররহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বোটটি এখনো ঘোলা পানিতে আটকা পড়ে আছে, এর ভেতরে যারা আটকা পড়ে আছেন তাদের উদ্ধার করতে বোটটিকে টেনে আনা হচ্ছে; মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত চারজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেরালার রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (কেএসডিএমএ) মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আছে। তারা পানির নিচে ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের অনেকেই লাইফ জ্যাকেট পরা ছিলেন না।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।