যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-প্রযুক্তি ও ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় “চীনা নজরদারি গোয়েন্দা বেলুন” ও কিউবায় “চীনা গুপ্তচর ঘাঁটি” করার অভিযোগ সামনে আসায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন বেশ উত্তেজনাকর।
এবার দুই দেশের সম্পর্ক যে বেশ খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে তা স্বীকার করলো হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, “চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এখন বেশ উত্তেজনাকর। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চীনের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা বন্ধ করবেন না। তাই কিউবায় চীনা গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরির খবরের পরেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের চীন সফর বাতিল হচ্ছে না।”
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় “চীনের নজরদারি বেলুন” শনাক্ত ও তা ভূপাতিত করার দাবি করা হয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষই সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৮ জুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনার রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) জন কিরবির বরাতে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খারাপ সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারপরও জো বাইডেন চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কিউবায় চীন একটি গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে। কিউবা এবং চীন অবশ্য এই খবর অস্বীকার করেছে। এরপর থেকে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, “চীন এখন গোটা বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাচ্ছে। কিউবায় তাদের গুপ্তচর ঘাঁটির বিষয়টি একই পরিপ্রেক্ষি থেকে দেখতে হবে। তবে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন। ফলে চীন যে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করতে পরিকল্পনা করেছিল, তা আর এখন সম্ভব হচ্ছে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার সময় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি থেকে শুরু করে হংকং, তাইওয়ান, শিনজিয়াংয়ে উইঘুর নিপীড়ন এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে সংঘাতে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।