চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর চীন, বেলারুশ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চায়নাটাউন এলাকায় একটি ল্যাম্পপোস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পতাকা উড়ছে, ১ নভেম্বর ২০২১ ফাইল ছবি/রয়টার্স
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:২২ পিএমআপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ০১:৫৪ পিএম
চীন, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত কয়েক ডজন ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর মানবাধিকার-সম্পর্কিত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
একই সঙ্গে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা “সেন্সটাইম গ্রুপ”-কেও বিনিয়োগের কালো তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন সরকার।
এছাড়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
অন্যদিকে, মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট জো বাডেনের প্রশাসনের অধীনে উত্তর কোরিয়ার ওপরেও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের আজকের কার্যক্রম, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং কানাডার অংশীদারিত্ব এই বার্তায় পাঠিয়েছে যে সারা বিশ্বের গণতন্ত্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্ভোগ ও নিপীড়ন চালাচ্ছে।”
এদিকে, ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস এই মার্কিন পদক্ষেপকে “চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ” এবং “আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন” বলে নিন্দা করেছে।
ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, “এটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করবে।”
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলোর অনুমান, চীনের সুদূর-পশ্চিম অঞ্চল জিনজিয়াং-এ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু সদস্যদের একটি বিশাল ব্যবস্থায় আটক করা হয়েছে।
যদিও চীন জিনজিয়াংয়ে অপব্যবহার অস্বীকার করেছে, তবে মার্কিন সরকার এবং অনেক অধিকার গোষ্ঠীর মতে, সেখানে গণহত্যা চালানো হচ্ছে।
তবে, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশন এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ওয়াশিংটন দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মার্কিন রাজস্ব বিভাগের মতে, মিয়ানমারের দুটি সামরিক সত্তা এবং একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যেগুলো সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত।
এর মধ্যে, প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তর অন্যতম, যেটি সেনাবাহিনী এবং পুলিশের জন্য অস্ত্র তৈরি করে। সে অস্ত্র ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।
এছাড়া, কানাডা মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে যুক্ত চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর চীন, বেলারুশ ও শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর চীন, বেলারুশ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
চীন, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত কয়েক ডজন ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর মানবাধিকার-সম্পর্কিত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
একই সঙ্গে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা “সেন্সটাইম গ্রুপ”-কেও বিনিয়োগের কালো তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন সরকার।
এছাড়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
অন্যদিকে, মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট জো বাডেনের প্রশাসনের অধীনে উত্তর কোরিয়ার ওপরেও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের আজকের কার্যক্রম, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং কানাডার অংশীদারিত্ব এই বার্তায় পাঠিয়েছে যে সারা বিশ্বের গণতন্ত্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্ভোগ ও নিপীড়ন চালাচ্ছে।”
এদিকে, ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস এই মার্কিন পদক্ষেপকে “চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ” এবং “আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন” বলে নিন্দা করেছে।
ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, “এটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করবে।”
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলোর অনুমান, চীনের সুদূর-পশ্চিম অঞ্চল জিনজিয়াং-এ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু সদস্যদের একটি বিশাল ব্যবস্থায় আটক করা হয়েছে।
যদিও চীন জিনজিয়াংয়ে অপব্যবহার অস্বীকার করেছে, তবে মার্কিন সরকার এবং অনেক অধিকার গোষ্ঠীর মতে, সেখানে গণহত্যা চালানো হচ্ছে।
তবে, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশন এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ওয়াশিংটন দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মার্কিন রাজস্ব বিভাগের মতে, মিয়ানমারের দুটি সামরিক সত্তা এবং একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যেগুলো সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত।
এর মধ্যে, প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তর অন্যতম, যেটি সেনাবাহিনী এবং পুলিশের জন্য অস্ত্র তৈরি করে। সে অস্ত্র ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।
এছাড়া, কানাডা মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে যুক্ত চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর চীন, বেলারুশ ও শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বিষয়: