নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে হামলার সন্দেহভাজনকে ‘চিনত’ পুলিশ
সে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় গত বছর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পুলিশ
হামলার পর দেয়ালে একটি তীর আটকে থাকতে দেখা গেছে। ছবি: রয়টার্স
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২২ পিএমআপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২৫ পিএম
নরওয়ের সুপার মার্কেটে তীর ও ধনুক দিয়ে হামলা চালানো সন্দেহভাজন ড্যানিশ ব্যক্তি ধর্মান্তরিত মুসলমান। সে সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। সে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় গত বছর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পুলিশ।
নরওয়ের রাজধানী অসলোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কংসবার্গে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ওই ব্যক্তি তীর ও ধনুক দিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে চার নারী ও এক পুরুষ। তাদের প্রত্যেকের বয়স ৫০ থেকে ৭০ এর মধ্যে।
নরওয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদ বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই ড্যানিশ নাগরিক চার নারী ও এক পুরুষকে হত্যা করেছে। বুধবার রাতে ওই হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে একজন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুপার মার্কেটে কেনাকাটার একপর্যায়ে গণ্ডগোলের শব্দ পান তিনি। এক নারীকে ওই সময় আত্মরক্ষা করতে দেখেন তিনি। এরপরই মার্কেটটির এক পাশে কাঁধে তীরসহ ধনুক হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তিকে দেখে প্রাণ বাঁচাতে মানুষজনকে এদিক-ওদিক দৌড়াতে দেখি। তাদের মধ্যে শিশু হাতে এক নারীও ছিল।”
নরওয়ের পুলিশ কর্মকর্তা ওলে ব্রেডরাপ সাভেরুড সাংবাদিকদের বলেন, “ড্যানিশ ব্যক্তিটি একাই হামলা চালিয়েছে, তা আমরা মোটামুটি নিশ্চিত। এটি সন্ত্রাসী হামলা কি-না, তা আমরা তদন্ত করছি।”
তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে ২০২০ সাল থেকেই পুলিশের জানাশোনা রয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ড্রাম্মেন শহরের একটি থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তার আইনজীবী ফ্রেডেরিক নিউম্যান জানান তাকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর তিনি পুলিশকে সহায়তা করেছেন।
দেশটির পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিমূলক কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে নেই।
পুলিশ প্রসিকিউটর অ্যান আইরেন জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরেই কংসবার্গ শহরে বসবাস করেন।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ জানান, হামলার ওই ঘটনা “আতঙ্কজনক।”
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ বিবেচিত নরওয়ে।
নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে হামলার সন্দেহভাজনকে ‘চিনত’ পুলিশ
সে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় গত বছর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পুলিশ
নরওয়ের সুপার মার্কেটে তীর ও ধনুক দিয়ে হামলা চালানো সন্দেহভাজন ড্যানিশ ব্যক্তি ধর্মান্তরিত মুসলমান। সে সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। সে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় গত বছর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পুলিশ।
নরওয়ের রাজধানী অসলোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কংসবার্গে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ওই ব্যক্তি তীর ও ধনুক দিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে চার নারী ও এক পুরুষ। তাদের প্রত্যেকের বয়স ৫০ থেকে ৭০ এর মধ্যে।
নরওয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদ বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই ড্যানিশ নাগরিক চার নারী ও এক পুরুষকে হত্যা করেছে। বুধবার রাতে ওই হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে একজন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুপার মার্কেটে কেনাকাটার একপর্যায়ে গণ্ডগোলের শব্দ পান তিনি। এক নারীকে ওই সময় আত্মরক্ষা করতে দেখেন তিনি। এরপরই মার্কেটটির এক পাশে কাঁধে তীরসহ ধনুক হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তিকে দেখে প্রাণ বাঁচাতে মানুষজনকে এদিক-ওদিক দৌড়াতে দেখি। তাদের মধ্যে শিশু হাতে এক নারীও ছিল।”
নরওয়ের পুলিশ কর্মকর্তা ওলে ব্রেডরাপ সাভেরুড সাংবাদিকদের বলেন, “ড্যানিশ ব্যক্তিটি একাই হামলা চালিয়েছে, তা আমরা মোটামুটি নিশ্চিত। এটি সন্ত্রাসী হামলা কি-না, তা আমরা তদন্ত করছি।”
তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে ২০২০ সাল থেকেই পুলিশের জানাশোনা রয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ড্রাম্মেন শহরের একটি থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তার আইনজীবী ফ্রেডেরিক নিউম্যান জানান তাকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর তিনি পুলিশকে সহায়তা করেছেন।
দেশটির পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিমূলক কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে নেই।
পুলিশ প্রসিকিউটর অ্যান আইরেন জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরেই কংসবার্গ শহরে বসবাস করেন।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ জানান, হামলার ওই ঘটনা “আতঙ্কজনক।”
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ বিবেচিত নরওয়ে।