যদিও আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কোথায় এবং কীভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি
দাবানল সৃষ্টির অপরাধে সিরিয়ায় ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। ছবি: রয়টার্স
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২১, ০১:৩৪ পিএমআপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
সিরিয়ায় গত বছর দাবানল সৃষ্টি করে বনভূমি ধ্বংসের অপরাধে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মনুষ্য সৃষ্ট এ দাবানলে দেশটিতে তিনজন মারা গিয়েছিল এবং হাজার হাজার একর বনভূমি পুড়ি গিয়েছিল। সিরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে “দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্ষতির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।” এছাড়া একই অপরাধে আরও ১১ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, চারজনকে অস্থায়ী শাস্তি এবং পাঁচজন অপ্রাপ্ত বয়স্ককে ১০ থেকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যদিও আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কোথায় এবং কীভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের শেষের দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাতাকিয়া, টারটাস এবং হোমস প্রদেশে দাবানলের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করেছিল।
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা তিনটি প্রদেশের বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন লাগিয়েছিল এবং তারা সভার মাধ্যমে পরিকল্পনা করে আগুন লাগিয়েছে। এ দাবানল ২০২০ সালে বিরতিহীনভাবে ২ মাস ছিল।”
তারা আরও জানিয়েছে, গত বছর দেশটির ২৮০টি শহর ও গ্রামে ১৮৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
আসামিদের দেওয়া এ আগুনে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টার কৃষিজমি এবং ১১ হাজার হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ৩৭০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আগুনে লাতাকিয়া প্রদেশে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্মস্থান কার্দাহা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানির গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে এর একটি অংশ ধসে পড়েছিল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরপরই আল-আসাদ এই অঞ্চল পরিদর্শন করেছিলেন।
সিরিয়ার মানবাধিকার গবেষক সারা কায়ালি আল জাজিরাকে বলেন, “২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবরটি মর্মান্তিক।”
বন ধ্বংস করায় সিরিয়ায় ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
যদিও আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কোথায় এবং কীভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি
সিরিয়ায় গত বছর দাবানল সৃষ্টি করে বনভূমি ধ্বংসের অপরাধে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মনুষ্য সৃষ্ট এ দাবানলে দেশটিতে তিনজন মারা গিয়েছিল এবং হাজার হাজার একর বনভূমি পুড়ি গিয়েছিল। সিরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে “দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্ষতির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।” এছাড়া একই অপরাধে আরও ১১ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, চারজনকে অস্থায়ী শাস্তি এবং পাঁচজন অপ্রাপ্ত বয়স্ককে ১০ থেকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যদিও আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কোথায় এবং কীভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের শেষের দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাতাকিয়া, টারটাস এবং হোমস প্রদেশে দাবানলের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করেছিল।
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা তিনটি প্রদেশের বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন লাগিয়েছিল এবং তারা সভার মাধ্যমে পরিকল্পনা করে আগুন লাগিয়েছে। এ দাবানল ২০২০ সালে বিরতিহীনভাবে ২ মাস ছিল।”
তারা আরও জানিয়েছে, গত বছর দেশটির ২৮০টি শহর ও গ্রামে ১৮৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
আসামিদের দেওয়া এ আগুনে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টার কৃষিজমি এবং ১১ হাজার হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ৩৭০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আগুনে লাতাকিয়া প্রদেশে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্মস্থান কার্দাহা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানির গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে এর একটি অংশ ধসে পড়েছিল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরপরই আল-আসাদ এই অঞ্চল পরিদর্শন করেছিলেন।
সিরিয়ার মানবাধিকার গবেষক সারা কায়ালি আল জাজিরাকে বলেন, “২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবরটি মর্মান্তিক।”