পাকিস্তানের জয় ‘উদযাপন’ করায় ভারতে সাত মুসলিম তরুণ গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের জয় ‘উদযাপন’ করায় ভারতে সাত মুসলিম তরুণ গ্রেপ্তার
টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয় পায় পাকিস্তান। ছবি: সংগৃহীত
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৪৫ পিএমআপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিজয় “উদযাপন করার অভিযোগে” ভারতে সাত মুসলিম তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া তাদের মধ্যে তিনজনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক টুইটে বলেছেন, “আটক হওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হতে পারে।”
ওই তিনজন আগ্রার রাজা বলবন্ত সিং কলেজের প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষার্থী। তারা হলেন- কাশ্মীরের আরশিদ ইউসুফ এবং ইনায়াত আলতাফ শেখ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ও শওকত আহমেদ গানাই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতা এবং ফেডারেল ক্যাবিনেট মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, “রবিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় ভারতের পরাজয়ে উল্লাস করার জন্য উত্তর প্রদেশ পুলিশ যে কারও বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”
গত সোমবার ওই শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে “পাকিস্তানের পক্ষে স্ট্যাটাস পোস্ট করে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার” প্রমাণ মিলেছে।
একই ধরনের অভিযোগে উত্তর প্রদেশে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে বেরেলি থেকে এবং অন্য একজনকে লখ্নৌ থেকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের জয় উদযাপনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ শ্রীনগরের দুটি মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তবে বিষয়টির প্রতিবাদ করে ভারতের উদারপন্থী নাগরিকরা বলেছেন, ক্রিকেটে বা জীবনের অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে যাকে ইচ্ছা সমর্থন করার স্বাধীনতা থাকা উচিত ভারতীয়দের। পাশাপাশি মুসলমানদের বদনাম করার জন্য হিন্দু চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
২০১৭ সালে আদিত্যনাথ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসলিমদের নামে থাকা বেশ কয়েকটি শহর এবং রেলস্টেশনের নামও পাল্টে দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে বিতর্কিত ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যখন মুসলমানরা বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন এবং বিক্ষোভ করেছিলেন তখন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে জরিমানা হিসেবে অনেক মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের জয় ‘উদযাপন’ করায় ভারতে সাত মুসলিম তরুণ গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের জয় ‘উদযাপন’ করায় ভারতে সাত মুসলিম তরুণ গ্রেপ্তার
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিজয় “উদযাপন করার অভিযোগে” ভারতে সাত মুসলিম তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া তাদের মধ্যে তিনজনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক টুইটে বলেছেন, “আটক হওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হতে পারে।”
ওই তিনজন আগ্রার রাজা বলবন্ত সিং কলেজের প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষার্থী। তারা হলেন- কাশ্মীরের আরশিদ ইউসুফ এবং ইনায়াত আলতাফ শেখ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ও শওকত আহমেদ গানাই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতা এবং ফেডারেল ক্যাবিনেট মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, “রবিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় ভারতের পরাজয়ে উল্লাস করার জন্য উত্তর প্রদেশ পুলিশ যে কারও বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”
গত সোমবার ওই শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে “পাকিস্তানের পক্ষে স্ট্যাটাস পোস্ট করে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার” প্রমাণ মিলেছে।
একই ধরনের অভিযোগে উত্তর প্রদেশে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে বেরেলি থেকে এবং অন্য একজনকে লখ্নৌ থেকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের জয় উদযাপনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ শ্রীনগরের দুটি মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তবে বিষয়টির প্রতিবাদ করে ভারতের উদারপন্থী নাগরিকরা বলেছেন, ক্রিকেটে বা জীবনের অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে যাকে ইচ্ছা সমর্থন করার স্বাধীনতা থাকা উচিত ভারতীয়দের। পাশাপাশি মুসলমানদের বদনাম করার জন্য হিন্দু চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
২০১৭ সালে আদিত্যনাথ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসলিমদের নামে থাকা বেশ কয়েকটি শহর এবং রেলস্টেশনের নামও পাল্টে দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে বিতর্কিত ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যখন মুসলমানরা বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন এবং বিক্ষোভ করেছিলেন তখন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে জরিমানা হিসেবে অনেক মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।