সাইবার পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানতে পারে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডের কেউ আইফোনটি ব্যবহার করেছে। যা নুরুলের অর্ডার দেওয়ার ১৫ দিন আগে থেকেই
অনলাইনে আইফোন অর্ডার করে ভিম বার পেয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি সংগৃহীত
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৮:০০ পিএমআপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৮:০০ পিএম
অনলাইনে এক পণ্য অর্ডার করে অন্য পণ্য হাতে পাওয়ার ঘটনা প্রায় সময়ই শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে সে সব ঘটনা সামনে আসলে অনেকেই মজা পান গ্রাহকের দুর্ভোগ দেখে। তবে পুলিশের নজরে আসলে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানেরও যে দুর্ভোগ হতে পারে তারই প্রমাণ মিলল এবার।
ভারতের কেরালা রাজ্যের নুরুল আমীন নামের এক ব্যক্তি অ্যামাজন থেকে একটি আইফোন ১২ অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু আইফোনের বদলে বাসন পরিষ্কার করার ভিম, সাবানের বার ও পাঁচ রুপির একটি মুদ্রা (কয়েন) হাতে পান ওই ব্যক্তি।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলুভার স্থানীয় নুরুল আমীন অ্যামাজন “পে কার্ড” ব্যবহার করে ৮১ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে গত ১২ অক্টোবর আইফোনটি অর্ডার করেছিলেন। ১৫ অক্টোবর অর্ডারটি হাতে পান তিনি। তবে পণ্যটি পাওয়ার পরেই সন্দেহ হয় নুরুলের। কারণ প্যাকেজটি হায়দ্রাবাদ থেকে পাঠানোর পর একদিনের জন্য সালেমে আটকে ছিল।
অ্যামাজনের নিয়মিত গ্রাহক হিসেবে তিনি জানতেন, বেশিরভাগ প্যাকেজই হায়দ্রাবাদ থেকে কোচিতে পৌঁছাতে দুই দিন সময় লাগে। সেখানে তার আইফোনটি আসতে তিন দিন সময় লেগেছে। প্যাকেজটি হাতে পেয়ে তাই অ্যামাজনের ডেলিভারি ম্যানের সামনেই বাক্সটি খোলেন নুরুল। এমনকি একটি ভিডিও-ও ধারণ করেন তিনি।
বাক্সের মধ্যে আইফোন না থাকলেও ভিম সাবানের বার ও পাঁচ রুপির মুদ্রার ওজন যে আইফোনের ওজনের মতোই তাও বুঝতে পারেন তিনি। নূরুল আমীন তাৎক্ষণিকভাবে অ্যামাজন কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সাইবার পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানতে পারে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডের কেউ আইফোনটি ব্যবহার করেছে। যা নুরুলের অর্ডার দেওয়ার ১৫ দিন আগে থেকেই।
তদন্ত দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ এবং তেলেঙ্গানাভিত্তিক ওই বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ফোনটি এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে, যদিও সেটি অক্টোবরে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ফোনটি স্টকে নেই এবং নূরুলের অর্থ তাকে ফেরত দেওয়া হবে।”
পরে একটি ফেসবুক পোস্টে কেরালা পুলিশ বলেছে, “বিক্রেতা ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগী নুরুলকে আইফোনের টাকা ফেরত দিয়েছে। তবে মামলার তদন্ত চলছে।”
অ্যামাজনে আইফোন অর্ডার করে পেলেন ভিম বার!
সাইবার পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানতে পারে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডের কেউ আইফোনটি ব্যবহার করেছে। যা নুরুলের অর্ডার দেওয়ার ১৫ দিন আগে থেকেই
অনলাইনে এক পণ্য অর্ডার করে অন্য পণ্য হাতে পাওয়ার ঘটনা প্রায় সময়ই শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে সে সব ঘটনা সামনে আসলে অনেকেই মজা পান গ্রাহকের দুর্ভোগ দেখে। তবে পুলিশের নজরে আসলে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানেরও যে দুর্ভোগ হতে পারে তারই প্রমাণ মিলল এবার।
ভারতের কেরালা রাজ্যের নুরুল আমীন নামের এক ব্যক্তি অ্যামাজন থেকে একটি আইফোন ১২ অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু আইফোনের বদলে বাসন পরিষ্কার করার ভিম, সাবানের বার ও পাঁচ রুপির একটি মুদ্রা (কয়েন) হাতে পান ওই ব্যক্তি।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলুভার স্থানীয় নুরুল আমীন অ্যামাজন “পে কার্ড” ব্যবহার করে ৮১ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে গত ১২ অক্টোবর আইফোনটি অর্ডার করেছিলেন। ১৫ অক্টোবর অর্ডারটি হাতে পান তিনি। তবে পণ্যটি পাওয়ার পরেই সন্দেহ হয় নুরুলের। কারণ প্যাকেজটি হায়দ্রাবাদ থেকে পাঠানোর পর একদিনের জন্য সালেমে আটকে ছিল।
অ্যামাজনের নিয়মিত গ্রাহক হিসেবে তিনি জানতেন, বেশিরভাগ প্যাকেজই হায়দ্রাবাদ থেকে কোচিতে পৌঁছাতে দুই দিন সময় লাগে। সেখানে তার আইফোনটি আসতে তিন দিন সময় লেগেছে। প্যাকেজটি হাতে পেয়ে তাই অ্যামাজনের ডেলিভারি ম্যানের সামনেই বাক্সটি খোলেন নুরুল। এমনকি একটি ভিডিও-ও ধারণ করেন তিনি।
বাক্সের মধ্যে আইফোন না থাকলেও ভিম সাবানের বার ও পাঁচ রুপির মুদ্রার ওজন যে আইফোনের ওজনের মতোই তাও বুঝতে পারেন তিনি। নূরুল আমীন তাৎক্ষণিকভাবে অ্যামাজন কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সাইবার পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানতে পারে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডের কেউ আইফোনটি ব্যবহার করেছে। যা নুরুলের অর্ডার দেওয়ার ১৫ দিন আগে থেকেই।
তদন্ত দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ এবং তেলেঙ্গানাভিত্তিক ওই বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ফোনটি এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে, যদিও সেটি অক্টোবরে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ফোনটি স্টকে নেই এবং নূরুলের অর্থ তাকে ফেরত দেওয়া হবে।”
পরে একটি ফেসবুক পোস্টে কেরালা পুলিশ বলেছে, “বিক্রেতা ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগী নুরুলকে আইফোনের টাকা ফেরত দিয়েছে। তবে মামলার তদন্ত চলছে।”