কপ২৬: জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে
চুক্তিতে থাকা কিছু শব্দ নিয়ে যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হয়নি
গ্লাসগোতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখোশ পড়ে জলবায়ু কর্মীরা বিক্ষোভ করছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০৯ পিএমআপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০৯ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সম্মেলনের পর্দা নামার কথা থাকলেও ঘড়ির কাঁটা ছয়টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও আলোচনা চলেছে। চুক্তিতে থাকা কিছু শব্দ নিয়ে যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হয়নি।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে একত্রিত হয়ে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি এবং দরিদ্র দেশগুলোকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা করছেন।
অলোক শর্মা বলেন, “আমরা গত দুই সপ্তাহে অনেক দূর এগিয়েছি এবং আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার। আমি ও আমার দল মিলে সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। শনিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্মেলন সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।”
কপের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা ইতোমধ্যে দুবার সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেছেন। শুক্রবার বিকেলে জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে তার সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু আলোচকেরা এখনও যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর কপ-২৬ সম্মেলন শুরু হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এটাই সেই মুহূর্ত। আলোচকদের চুক্তির বক্তব্য অনুধাবন করতে হবে। আমাদের এতে সম্মত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। উন্নয়নশীল বিশ্বকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে সাহায্য করার জন্য আমাদের টেবিলে নগদ অর্থ আরও বেশি করে ঢালতে হবে।
ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর দূতরা বলছেন, তাদের ভূখণ্ড ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রভাব থেকে রক্ষা পাবো। এটি প্যারিস চুক্তির একটি মূল অংশ যা বেশিরভাগ দেশ স্বাক্ষর করেছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু সম্মেলন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর আগেও চূড়ান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
কপ২৬: জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে
চুক্তিতে থাকা কিছু শব্দ নিয়ে যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হয়নি
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সম্মেলনের পর্দা নামার কথা থাকলেও ঘড়ির কাঁটা ছয়টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও আলোচনা চলেছে। চুক্তিতে থাকা কিছু শব্দ নিয়ে যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হয়নি।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে একত্রিত হয়ে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি এবং দরিদ্র দেশগুলোকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা করছেন।
অলোক শর্মা বলেন, “আমরা গত দুই সপ্তাহে অনেক দূর এগিয়েছি এবং আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার। আমি ও আমার দল মিলে সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। শনিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্মেলন সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।”
কপের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা ইতোমধ্যে দুবার সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেছেন। শুক্রবার বিকেলে জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে তার সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু আলোচকেরা এখনও যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর কপ-২৬ সম্মেলন শুরু হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এটাই সেই মুহূর্ত। আলোচকদের চুক্তির বক্তব্য অনুধাবন করতে হবে। আমাদের এতে সম্মত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। উন্নয়নশীল বিশ্বকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে সাহায্য করার জন্য আমাদের টেবিলে নগদ অর্থ আরও বেশি করে ঢালতে হবে।
ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর দূতরা বলছেন, তাদের ভূখণ্ড ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রভাব থেকে রক্ষা পাবো। এটি প্যারিস চুক্তির একটি মূল অংশ যা বেশিরভাগ দেশ স্বাক্ষর করেছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু সম্মেলন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর আগেও চূড়ান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে।