ধারণা করা হচ্ছে বিগত ১ লাখ থেকে ৫০০ বছরের মধ্যে কোনো এক সময়ে হওয়া সংঘর্ষের কারণে চাঁদের এই টুকরোটি মহাকাশে পতিত হয়
পৃথিবী ও চাঁদের মাঝে থাকা কামো ওয়ালেয়া সংগৃহীত
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১১:৫৩ পিএমআপডেট : ০৮ মার্চ ২০২২, ০৬:০২ পিএম
সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে চাঁদের ভেঙে যাওয়া একটি ছোট টুকরো, যার নাম “কামো ওয়ালেয়া”। নতুন গবেষণায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে অবস্থানরত এই গ্রহাণুর পরিচয় শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, কামো ওয়ালেয়া নামের ওই গ্রহাণুটি ২০১৬ সালে আবিষ্কৃত হলেও এখন পর্যন্ত এর সম্পর্কে খুব কমই জানতেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এই গ্রহাণুটি চাঁদের ভাঙা টুকরো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, অনেকদিন আগের কোনো সংঘর্ষে এটি চাঁদ থেকে আলাদা হয়ে মহাকাশে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।
কামো ওয়ালেয়া পৃথিবীর উপ-উপগ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর কাছাকাছি থাকলেও ৯ মাইল দূরত্বে থেকে এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
গ্রহাণুটির আকৃতি ফেরিস হুইলের মতো এবং খালি চোখে দেখা নক্ষত্রের চেয়েও প্রায় চার গুণ বেশি ক্ষুদ্র। এ কারণে কামো ওয়ালেয়া গ্রহাণুটি দেখতে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের টেলিস্কোপ প্রয়োজন।
দক্ষিণ অ্যারিজোনার মাউন্ট গ্রাহামের বড় বাইনোকুলার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, কামো ওয়ালেয়া থেকে প্রতিফলিত আলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাপোলো অভিযানে চাঁদের শিলা থেকে প্রতিফলিত আলোর বর্ণালীর ব্যাপক সাদৃশ্য রয়েছে।
কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় আরও দেখা যায়, কামো ওয়ালেয়ার কক্ষপথও বেশ ব্যতিক্রম। মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী স্থানে দলবদ্ধ গ্রহাণুগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে এই গ্রহাণুটি।
এর আগে এমন কোনো গ্রহাণুর দেখা না পাওয়ায় চাঁদের এই টুকরোটি কিভাবে মহাকাশে ভেসে এল সেটি নিয়ে বিজ্ঞানীরাও সন্দিহান। ধারণা করা হচ্ছে, বিগত ১ লাখ থেকে ৫০০ বছরের মধ্যকার কোনো এক সময়ে হওয়া সংঘর্ষের কারণে চাঁদের এই টুকরোটি মহাকাশে পতিত হয়।
কেন্ট ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক স্টিফেন লোরি বলেন, “শতভাগ নিশ্চিত না হলেও বিজ্ঞানীদের গবেষণায় মনে হচ্ছে কামো ওয়ালেয়া প্রকৃতপক্ষে সংঘর্ষ থেকে সৃষ্ট।’’
পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে চাঁদের ‘ভাঙা টুকরো’
ধারণা করা হচ্ছে বিগত ১ লাখ থেকে ৫০০ বছরের মধ্যে কোনো এক সময়ে হওয়া সংঘর্ষের কারণে চাঁদের এই টুকরোটি মহাকাশে পতিত হয়
সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে চাঁদের ভেঙে যাওয়া একটি ছোট টুকরো, যার নাম “কামো ওয়ালেয়া”। নতুন গবেষণায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে অবস্থানরত এই গ্রহাণুর পরিচয় শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, কামো ওয়ালেয়া নামের ওই গ্রহাণুটি ২০১৬ সালে আবিষ্কৃত হলেও এখন পর্যন্ত এর সম্পর্কে খুব কমই জানতেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এই গ্রহাণুটি চাঁদের ভাঙা টুকরো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, অনেকদিন আগের কোনো সংঘর্ষে এটি চাঁদ থেকে আলাদা হয়ে মহাকাশে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।
কামো ওয়ালেয়া পৃথিবীর উপ-উপগ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর কাছাকাছি থাকলেও ৯ মাইল দূরত্বে থেকে এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
গ্রহাণুটির আকৃতি ফেরিস হুইলের মতো এবং খালি চোখে দেখা নক্ষত্রের চেয়েও প্রায় চার গুণ বেশি ক্ষুদ্র। এ কারণে কামো ওয়ালেয়া গ্রহাণুটি দেখতে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের টেলিস্কোপ প্রয়োজন।
দক্ষিণ অ্যারিজোনার মাউন্ট গ্রাহামের বড় বাইনোকুলার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, কামো ওয়ালেয়া থেকে প্রতিফলিত আলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাপোলো অভিযানে চাঁদের শিলা থেকে প্রতিফলিত আলোর বর্ণালীর ব্যাপক সাদৃশ্য রয়েছে।
কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় আরও দেখা যায়, কামো ওয়ালেয়ার কক্ষপথও বেশ ব্যতিক্রম। মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী স্থানে দলবদ্ধ গ্রহাণুগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে এই গ্রহাণুটি।
এর আগে এমন কোনো গ্রহাণুর দেখা না পাওয়ায় চাঁদের এই টুকরোটি কিভাবে মহাকাশে ভেসে এল সেটি নিয়ে বিজ্ঞানীরাও সন্দিহান। ধারণা করা হচ্ছে, বিগত ১ লাখ থেকে ৫০০ বছরের মধ্যকার কোনো এক সময়ে হওয়া সংঘর্ষের কারণে চাঁদের এই টুকরোটি মহাকাশে পতিত হয়।
কেন্ট ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক স্টিফেন লোরি বলেন, “শতভাগ নিশ্চিত না হলেও বিজ্ঞানীদের গবেষণায় মনে হচ্ছে কামো ওয়ালেয়া প্রকৃতপক্ষে সংঘর্ষ থেকে সৃষ্ট।’’
বিষয়: