ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবর্ষণে ৬২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধ্বসে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে।
২০২২ সালের তুলনায় এ বছর ভারতের অনেক অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তথ্য বলছে, এ বছর বর্ষায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে গুজরাটে ১০৩ জন।
হিমালয়ের সোলান, উনার মতো এলাকায় বৃষ্টি ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। দিল্লিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজধানীতে। এ সব অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে ছাড়তে হয়েছে বাড়িঘর।
হিমাচলে এখন পর্যন্ত ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৮৭। তবে ২০২২ সালের তুলনায় এবার হিমাচলের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
দক্ষিণের কর্ণাটকে মারা গেছে ৮৭ জন। রাজস্থানে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। উত্তরপূর্বের আসামে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। ২০২২ সালের এই সংখ্যা ছিল ১৯৩ জন।
এদিকে মেঘালয় ও মণিপুরে মারা গেছে ৮ জন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮৯।
পূর্ব ও মধ্য ভারতে অনাবৃষ্টির কারণে ২০২২ সালের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা এবার কম বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বছর তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশসহ ১২টি রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বর্ষায়।
২০২২ সালে সংখ্যাটা ছিল ১৮৭। এ দুই রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে।