“”
অব্যবহৃত জিনিস অনলাইনে বিক্রির জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস। স্মার্টফোন, মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে ভিডিও গেম, গাড়ি, বাড়ি সবই ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়।
তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ওদোংগা শহরের বাসিন্দা ড্যারিন রাইট অদ্ভুত এক পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা “ব্রেন গান ক্যারিয়ার” তুলেছেন মার্কেটপ্লেসে।
১৯৪১ এবং ১৯৪৪ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ইউনিট ব্রেন গান ক্যারিয়ার তৈরি করেছিল। কিন্তু দেশটির অন্যতম সফল সামরিক যান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পরও এই বাহনগুলোর মধ্যে খুব কম সংখ্যককেই যুদ্ধে ব্যবহার করা হতো।
ড্যারিন রাইটের বাবা ১৯৮০ সালের দিকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ব্রেন গান ক্যারিয়ারটি খুঁজে পান। এরপর তিনি সেটিকে সুন্দরভাবে মেরামত করেন। বর্তমানে ক্যারিয়ারটি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এজন্য ড্যারিন রাইট এবং তার বাবা তাদের পুনর্নির্মাণ করা ক্যারিয়ারটি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন।
ড্যারিন রাইট জানান, ১৯৪০, ’৫০ এবং ’৬০-এর দশকে আইরে (দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ত্রিভুজাকার উপদ্বীপ) ফোর্ড ডিলারশিপ নিয়ে খুব গর্ব করা হতো। তখন অসংখ্য কৃষক ফোর্ড ট্রাকের মালিক ছিলেন। তখন একজন কৃষক এই যুদ্ধযানটি খুঁজে পান। তিনি সেই সময়ে তার ফোর্ড ট্রাকে বসানোর জন্য ক্যারিয়ারটির গিয়ারবক্স খুলে ফেলেন।
তখন রাইটের বাবা ওই কৃষককে বলেছিলেন, তিনি ক্যারিয়ারটি কিনতে চান। অন্যথায় এটি আলাদা করে বিক্রি করা হতো। ড্যারিন রাইট এবং তার বাবা তখন থেকে গাড়িটি মেরামতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
৮০% মেরামত শেষ হওয়া সত্ত্বেও, যুদ্ধকালীন সরঞ্জামে ভরা এই ক্যারিয়ারটি তারা বিক্রি করে দিতে চান। কারণ রাইটের বাবার শরীরটা ঠিক আগের মতো নেই। বয়স তাকে কঠিন পরিশ্রমে বাধা দিচ্ছে।
রাইটের আশা, মেশিনটি মেরামতের কাজ শেষ করবেন এমন কাউকেই ক্রেতা হিসেবে পাবেন তিনি। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারটি ইতিহাস অংশ হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, “এই ক্যারিয়ারটি একটি যাদুঘর। এটি তার জন্যই উপযুক্ত হবে যিনি এর মেরামত কাজ শেষ করতে পারবেন।”
রাইট এটির দাম নির্ধারণ করেছেন ৬০,০০০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য ৬৫ লাখ ৮৪,৭০৬ টাকা)।
অস্ট্রেলিয়ান হেড মিলিটারি হেরাল্ড্রি অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক নিক ফ্লেচারের মতে, ব্রেন গান ক্যারিয়ার হল “অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত এবং সফল সাঁজোয়া যান।”