মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানো ঘটনা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার মধ্যেই আইন সংশোধন করে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেন। আইন সংশোধন হলে যেকোনো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি দেওয়া- না দেওয়ার ব্যাপারটি পুরোপুরি পুলিশের এখতিয়ারে চলে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির নিরাপত্তা সতর্কতা তিন থেকে চারে উন্নীত করেছে- যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তর।
তবে নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান শার্লোটে ফন এসেন।
কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর কয়েকটি পরিকল্পিত হামলা ঠেকানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সুইডেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন জানান, পরিকল্পিত হামলা চিহ্নিত ও বন্ধ করার পর সুইডেনে এবং সুইডেনের বাইরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঐসব সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বুঝতে পারছি, অনেক সুইডিশ ভয়ে আছেন৷ কিন্তু আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে হবে।”
এদিকে, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সুইডেন যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
সম্প্রতি সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর একাধিক ঘটনা ঘটে। একই ঘটনা ঘটে ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কেও। এসব ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দায়ীদের কঠোর শাস্তির আহ্বান জানান।