তীব্র বায়ু দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দাদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমছে। এতে স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শিকাগো ইউনিভার্সিটি অব এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি)-এর সর্বশেষ এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-এ বলা হয়, বিশ্বব্যাপী দূষণের কারণে হারিয়ে যাওয়া মোট আয়ুষ্কালের অর্ধেক এই অঞ্চলে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান অঞ্চলটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুর মান কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে দ্রুত শিল্পায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে। যেখানে, শতাব্দীর শুরুর তুলনায় দূষণ কণার মাত্রা বর্তমানে ৫০% বেশি। এই দূষণ বৃহত্তর স্বাস্থ্য হুমকিতে সৃষ্ট বিপদকে ছাড়িয়ে গেছে।
গবেষণা অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ বাংলাদেশে প্রত্যেক মানুষ জীবন থেকে গড়ে ৬ বছর ৮ মাস হারিয়ে যাচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। যুক্তরাষ্ট্রে এই গড় ৩ বছর ৬ মাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বের দূষণের প্রায় ৫৯% বৃদ্ধির জন্য ভারত দায়ী। বিপজ্জনক বায়ু দেশটির আরও কিছু দূষিত অঞ্চলে আয়ুষ্কাল আরও হ্রাসের হুমকি দিচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ও ঘনবসতিপূর্ণ নয়াদিল্লি শহরে গড় আয়ু ১০ বছরেরও বেশি কমে গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকারক পিএম ২.৫ হিসেবে বায়ুবাহিত কণার মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা মাত্রায় নিয়ে আসলে গড় আয়ুষ্কাল ২ বছর ৩ মাস বাড়তে পারে।
পাকিস্তানের মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়তে পারে ৩ বছর ৯ মাস এবং জাপানে তা হতে পারে ৪ বছর ৬ মাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, বায়ুর মাত্রাগড়ে বছরে প্রতি ঘনমিটারে বায়ুবাহিত কণা ৫ মাইক্রোগ্রামে সীমাবদ্ধ করতে হবে।